ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

৩০ বছর ধরে আব্বা নাই: ফাহমিদা নবী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
৩০ বছর ধরে আব্বা নাই: ফাহমিদা নবী

তিন দশক আগে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী। তবে চলে যাওয়ার ত্রিশ বছর পরেও তিনি বেঁচে আছেন- গান, গায়কী আর সংগীতে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) মাহমুদুন্নবী’র ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনে বাবার স্মরণে বাংলানিউজের কাছে বিশেষ একটি লেখা পাঠিয়েছেন মাহমুদুন্নবীকন্যা ফাহমিদা নবী।

পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো- 

ভরসা, ইচ্ছা, চাওয়া, অভিমান- সবগুলোর সঙ্গে ভালোবাসা আসলে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এক সত্য। সে সত্যে মানুষই মানুষের নির্ভরতা, আস্থা আর প্রিয়তার মূল সাধন। ৩০ বছর ধরে আব্বা নাই! চলে গেছেন সবাইকে ছেড়ে!

২০ ডিসেম্বর ২০১৯- এ অন্য এক অনুধাবনের কথা বলি...। মানুষ মাত্রই মৃত্যুকে বরণ করবে। কেউ আগে, কেউ পরে। সবারই চলে যেতে হবে এই পৃথিবী ছেড়ে। কিছুই নিয়ে যেতে পারবে না কেউ। তবে পৃথিবীতে স্মরণীয় মনের খুব কাছের হয়ে থাকার মতো করে নিজেকে পরিচালিত করার সময় বোধহয় এখন।

মাহমুদুন্নবীর ছবির দুই পাশে তার সন্তানেরা
আগের দিনে সহজ-সরল জীবনে জটিলতার ভাব কম ছিল বলে, মনের কোণে কেউ কেউ বাস করে আজো। সৃজনশীলতার মূল্য তো সমাজই দেয়। তাই নতুন প্রজন্ম কিছু কিছু শুনে শুনে মানুষ হিসেবে মনের অজান্তেই তা গ্রহণ করে। আবার ভুলেও যায়। কারো সময় নেই কাউকে নিয়ে বেশিক্ষণ ভাবার। তারপরও ভাবলে, সম্মান করলে বুঝতে হবে সেই মানুষটি আসলে বোধকে কাজে লাগাচ্ছে। সেই কারণে শিকড়কে নিয়ে ভাবে একটু হলেও।

বলছিলাম ভরসার কথা। হ্যাঁ ভরসাই তো- যার উপর ডানা মেলে কাজ করে যাচ্ছি, সেতো আমার বাবা মাহমুদুন্নবী! যার গানের কণ্ঠ দিয়েই জয় করে যাচ্ছেন শ্রোতাকে আজো। অনেক ঝড় যায়, ভয় পাই না। কারণ ইচ্ছা, চাওয়া এবং গভীর অভিমানের ভালোবাসাকে এক করে, কন্ঠকে শুধু ভালো গানের জন্যই লালন করে যাচ্ছি। যার মূল্য কে দেবে, কে দেবে না- ভাবার সময় নাই একদম! আছে শুধু ছায়ার মতো নির্ভরতার আস্থা আর সত্যের এক ভীত।

মানুষকে ভালোবাসতেই শিখেছি আর গানের মধ্যে মমতাকে ঠাই দিতে শিখেছি বাবার মতো।
বাকি সত্য শ্রোতারা বারবার জানিয়ে দেয়। ‘শিল্পী মাহমুদুন্নবী একটাই নাম’... , যার মতো হৃদয়কে বেদনাকাতর করবার মতো দরদ কারই বা আছে?!

আব্বার গানের ঝুলিতে ফেলে দেওয়ার মতো কোনো গানই নাই! যা আছে সবটাই প্রিয়তার খাতায়। আর মানুষ হিসেবে মানুষের জন্য রেখে গেছেন অফুরান ভালোবাসা। চেষ্টা আমাদেরও তাই। নতুন বছর এলো, আরও ভালো কাজই যেনো করতে পারি, বাবার সন্তান হিসেবে এটুকুই আল্লাহতাআলার কাছে প্রার্থনা। বিশ্বাস করি, সম্মান যে দিতে জানে, সম্মান তাকে ছেড়ে যায় না । কোনোদিন কাউকে অসম্মান করিনি, শিখিনি অসম্মান করতে। তাই ভয় পাই না, কেউ সম্মান জানাতে ভুলে গেলে! ভাবি হয়তো একদিন শিখবে। যার যা প্রাপ্য তা সে পাবেই। ভালোর ভালো, মন্দের মন্দ। তাইতো আজো আব্বার জন্য সবার মনে শুধু সম্মান আর ভালোবাসার আয়নাটাই দেখতে পাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।