সংগীত পরিচালক বাসুদেব ঘোষ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: সংগীত পরিচালক বাসুদেব ঘোষ আর নেই
মাত্র ৫১ বছর বয়সেই এই প্রতিভাবান সংগীত পরিচালক ও সুরকার তার সমস্ত কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে গেলেন।
এই স্বপ্নবাজ সুরকার অনেক বড় একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি অনেকটা নিভৃতে নিজ উদ্যোগে কাজ করছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দেশাত্মবোধক গানের অ্যালবাম নিয়ে। এক হাজারটি দেশের গান নিয়ে সাজানো এই অ্যালবামে নাম রেখেছিলেন ‘সূর্যালোকে শাণিত প্রাণের গান’। যাতে এর মধ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন অনেক শিল্পী। গান রেকর্ড করেছেন কয়েকশত। এটাকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা ছিল তার। সেসঙ্গে দেশাত্মবোধক গানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং মানুষের মাঝে দেশপ্রেমকে জাগ্রত করার তীব্র প্রেরণা পাওয়া যায় তার কাজের মধ্যে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০টি গান নিয়ে কাজ করছিলেন বাসুদেব ঘোষ। জানা যায়, গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন সুমনা বর্ধন, সজল দাশ, পিন্টু ইসলাম, গোল্ডেন মণ্ডল, আশিষ সরকার, রুবেল রহমানসহ আরও কয়েকজন।
এছাড়া চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার গান নিয়েও বিশেষ প্রকল্প শুরু করেছিলেন বাসুদেব ঘোষ। কিন্তু কোন কাজই সমাপ্ত করে যেতে পারলেন না তিনি।
বাসুদেব ঘোষের অকাল প্রয়াণে মর্মাহত তার সহকর্মী অমিত কর ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, ‘বুকটা ভীষণ ব্যথা করছে বাসু’দা। কাঁদতেও পারছি না চিৎকার করে। মানতে পারছি না আপনি আর নেই। আর কোনদিনই আড্ডা হবেনা গান নিয়ে। আর কোনদিন দুষ্টামি করবো না আপনার সাথে। আপনার মৃত মুখটা আমাকে বোবা করে দিয়েছে। আপনার সহজ সরল শিশুর মতো আচরণের জন্যই আপনাকে ভালোবাসতাম। অন্তরে থাকবেন চিরকাল প্রিয় বাসু’দা। ’
বাসুদেব ঘোষের সুর-সংগীত শ্রোতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘তোমার ওই মনটাকে একটা ধুলোমাখা পথ করে দাও’, ‘তুমি হারিয়ে যাওয়ার সময় আমায় সঙ্গে নিও’, ‘আমি খুঁজে বেড়াই আমার মা’, ‘এই করে কেটে গেল ১২টি বছর’, ‘দেহ মাদল’ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এমকেআর