অকাল প্রয়াত বাসুদেব ঘোষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনস্বরূপ আয়োজন করা হয়েছে ‘বাসুদেব ঘোষ স্মরণ অনুষ্ঠান’। আগামী সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানী বাংলামটরের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে এ স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
গত শতাব্দীর শেষ দশকে এ দেশের শুদ্ধ সঙ্গীত চর্চায় নতুন ধারার সূচনা করেন বাসুদেব ঘোষ। সেই থেকে তার হাত ধরে বহু শিল্পীর আবির্ভাব ঘটে সংগীত ভুবনে। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার,
সংগীত পরিচালক ও গায়ক ছিলেন।
মাত্র ৫১ বছর বয়সেই প্রতিভাবান এই সংগীত পরিচালক ও সুরকার তার সমস্ত কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে গেলেন। ১৯৯৫ সাল থেকেই তার এই সাধনা শুরু করেন। বিশেষ করে শাশ্বত ধারার বাংলা গান ও দেশাত্মবোধক গান নিয়েই তার কাজ ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এই স্বপ্নবাজ সুরকার অনেক বড় একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি অনেকটা নিভৃতে নিজ উদ্যোগে কাজ করছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দেশাত্মবোধক গানের অ্যালবাম নিয়ে। এক হাজারটি দেশের গান নিয়ে সাজানো এই অ্যালবামে নাম রেখেছিলেন ‘সূর্যালোকে শাণিত প্রাণের গান’। যাতে এর মধ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন অনেক শিল্পী। গান রেকর্ড করেছেন কয়েকশত। এটাকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা ছিল তার। সেই সঙ্গে দেশাত্মবোধক গানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমকে জাগ্রত করার তীব্র প্রেরণা পাওয়া যায় তার কাজের মধ্যে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০টি গান নিয়ে কাজ করছিলেন বাসুদেব ঘোষ। জানা যায়, গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন সুমনা বর্ধন, সজল দাশ, পিন্টু ইসলাম, গোল্ডেন মণ্ডল, আশিষ সরকার, রুবেল রহমানসহ আরও কয়েকজন।
এছাড়া চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার গান নিয়েও বিশেষ প্রকল্প শুরু করেছিলেন বাসুদেব ঘোষ। কিন্তু কোনো কাজই সমাপ্ত করে যেতে পারলেন না তিনি।
বাসুদেব ঘোষের সুর-সংগীতে বেশ কিছু শ্রোতামহলে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘তোমার ওই মনটাকে একটা ধুলোমাখা পথ করে দাও’, ‘তুমি হারিয়ে যাওয়ার সময় আমায় সঙ্গে নিও’, ‘আমি খুঁজে বেড়াই আমার মা’, ‘এই করে কেটে গেল ১২টি বছর’, ‘দেহ মাদল’ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
ওএফবি