করমালা মডেক্স নামের ৪৫ বছর বয়সী ওই নারী তিরুবনন্তপুরমের জেলা পারিবারিক আদালতে এক অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার দাবি, অনুরাধা পাড়োয়াল তার মা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এক সাক্ষাৎকারে করমালা বলেন, ‘প্রায় চার-পাঁচ বছর আগে আমার পালক পিতা তার মৃত্যুশয্যায় স্বীকার করে গেছেন যে, আমার জন্মদাত্রী মা প্রকৃতপক্ষে অনুরাধা পাড়োয়াল। আমাকে বলা হয়, আমাকে যখন পালক বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয় তখন আমার বয়স ছিল মাত্র চারদিন। সেসময়ে পন্নাচান মহারাষ্ট্রে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছিলেন অনুরাধার বন্ধু। পরে তার কেরালায় বদলি হয়। ’
করমালা আরও জানান, ঠিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগেই পন্নাচান এই কথা বলে গেছেন।
‘এখন, আমরা এটা আইনি প্রক্রিয়ায় দাবি করার জন্য এগোচ্ছি। তিনি আমার মা এবং আমি তাকে ফেরত চাই,’ যোগ করেন তিনি।
করমালার আইনজীবী অনিল প্রসাদ জানিয়েছেন, তার জন্মদাতা মা-বাবার কাছ থেকে ৫০ কোটি রুপির ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। কথিত জন্মদাতা পিতা অরুণ পাড়োয়ালের সমগ্র সম্পত্তির ওপর বিক্রির নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্যও আদালতে আবেদন করেছেন করমালা। তিনি আরও বলেন, ‘যদি অনুরাধা পাড়োয়াল করমালা মোডেক্সকে অস্বীকার করেন, তাহলে আমরা তাদের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানাব। ’
এসব নিয়ে প্রথম নীরব থাকলেও পরে তোপ দেগেছেন ৬৭ বছর বয়সী সংগীতশিল্পী অনুরাধা পাড়োয়াল। এক সংবাদসংস্থার কাছে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘এক তুচ্ছ ব্যক্তির মূর্খ বক্তব্যকে পরিষ্কার করা আমার কাজ না। এটি আমার জন্য অমর্যাদাকর। ’
অনুরাধা পাড়োয়ালের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই মেয়েটি একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত। অনুরাধার মেয়ে কবিতার জন্ম হয় ১৯৭৪ সালে। তিনি এখন একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। সুতরাং করমালার দাবি মিথ্যা। এই মেয়ে (করমালা) অনুরাধার স্বামীর কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি এও জানেন না যে, তার স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন। যদি করমালা অনুরাধার মেয়ে হয়ে থাকতেন তবে তিনি ৫০ কোটি রুপি না চেয়ে বরং তিনিই অনুরাধাকে পুরস্কৃত করতেন।
তবে এই জল কতদূর গড়ায় তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এদিন আদালত অনুরাধা পাড়োয়ালকে সশরীরে উপস্থিত হতে বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
এমকেআর