ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ৬০ আইনজীবী দেখলেন ‘মায়া’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২০
একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ৬০ আইনজীবী দেখলেন ‘মায়া’ একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ৬০ আইনজীবী দেখলেন ‘মায়া’

গেলো বছরের ২৭ ডিসেম্বর মুক্তি পায় মাসুদ পরিচালিত সিনেমা ‘মায়া- দ্য লস্ট মাদার’। ইতোমধ্যে সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করেছেন শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।

কবি-সাহিত্যিকদের পাশাপাশি সিনেমাটি দেখেছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীরাও। হ্যাঁ, বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সুপ্রীম কোর্টের ৬০ জন আইনজীবী একসঙ্গে দেখেছেন ‘মায়া- দ্য লস্ট মাদার’।

সিনেমাটি দেখে তাদের অনেকেই ফেসবুকে ‘মায়া’ এবং এর নির্মাতার প্রশংসা করেছেন। অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানার তত্বাবধানে স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটি দেখেন আইনজীবীরা।  

শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের চিত্রকর্ম ‘ওমেন’ এবং কবি কামাল চৌধুরীর ‘যুদ্ধশিশু’ কবিতা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘মায়া- দ্য লস্ট মাদার’।

‘মায়া’র একটি দৃশ্যে জ্যোতি ও প্রাণ রায়এর গল্পে দেখা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা এদেশের নারীদের ওপর যে পাশবিক-অমানুষিক নির্যাতন করেছেন, তা একটি বীরাঙ্গনা চরিত্রে মধ্য দিয়ে নির্মাতা তুলে ধরেছেন এই সিনেমায়। একজন বীরাঙ্গনার জীবন, সংসার এবং তার অতীতের বিভিন্ন দিক ‘মায়া’তে উঠে এসেছে। বীরাঙ্গনার বড় সন্তান একজন যুদ্ধশিশু, যে নিঁখোজ- মায়ের খোঁজে আছে সে। তার ছোট মেয়ে মায়া। মা বীরাঙ্গনা হওয়ায় সংসার ভেঙ্গে যায় মায়ার। মায়ের সংসারই মায়া ও তার দুই সন্তানের সংসার। বাড়িতে আশ্রিত আছে আরেক যুদ্ধশিশু, যার সঙ্গে মায়ার প্রেম।  

এদিকে গ্রামের চেয়ারম্যান, ইমাম সকলের নজর মায়ার শরীরে। এসবের মধ্যেই চলতে থাকে মায়ার জীবন সংগ্রাম। কৃষিকাজ করে সংসার চালায় মায়া। হালচাষ, পশুপালন থেকে শুরু করে ঘরের কাজ সবই সামলায় মায়া। সমাজের কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে একঘরে হয়ে আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচে আর নিজের যুদ্ধ চালিয়ে যায় মায়া। তবুও একদিন সমাজের অন্যায়-নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ হারায় সন্তানসম্ভবা মায়া। এককথায়, একজন বীরাঙ্গনার জীবনের করুণ গল্পের মধ্য দিয়ে বাংলার রূপবৈচিত্র্য, প্রেম ও সমাজ বাস্তবতার চালচিত্র তুলে ধরা হয়েছে ‘মায়া’তে।

সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন- মুমতাজ সরকার (ভারত), প্রাণ রায়, জ্যোতিকা জ্যোতি, দেবাশিষ কায়সার, সৈয়দ হাসান ইমাম, ঝুনা চৌধুরী, নারগিস আক্তার, লীনা ফেরদৌসী, ড. শাহাদাত হোসেন নিপু, আসলাম সানী ও মজিদ প্রমুখ।

ব্রাত্য ক্রিয়েশন প্রযোজিত এই সিনেমায় গান করেছেন- ইমন চৌধুরী, বেলাল খান, কোনাল, ঐশী, পুজা ও মমতাজ।
২০১৬ সালে ‘মায়া- দ্য লস্ট মাদার’ নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পায়। সে বছরই সিনেমাটির কাজ শুরু হয়। এর কাজ সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে তিন বছর। অবশেষে ৩ ডিসেম্বর ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৭ সেকেন্ডের সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের সনদ পায়।

‘নেকাব্বরের মহাপ্রায়াণ’খ্যাত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মাসুদ পথিকের এটি দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। এর মাধ্যমে বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের সত্য গল্প নিয়ে এই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মিত হলো বাংলাদেশে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।