আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথমদিন উৎসবের মূল আকর্ষণ মধ্যযুগের (১৩ শতকের) কাশ্মীরি বাউল সাধক লালেশ্বরীকে (লালী ডেড) নিয়ে গবেষণাপত্র আলোচনা করেন কলকাতার জাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক শমীক ঘোষ। বাংলার অরিজিনাল পারফর্মেন্স আর্টস বিষয়ে গবেষণাপত্র তুলে ধরেন গবেষক মনজুরুল ইসলাম মেঘ।
ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মানসী দাসের পরিচালনায় পরিবেশিত হয় লালন, লালী ও রবীন্দ্র সংগীতের উপরে শাস্ত্রীয় নৃত্য। তার সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ’ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
লালন ও লালী সংগীত পরিবেশন করে সুরের মূর্ছনায় দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন বাউলশিল্পী প্রদীপ অধিকারী, বাউল শিল্পী মৌসুমী বালা, লালী সংগীতশিল্পী ঐক্য জিৎ রায়, বাউলশিল্পী লামিয়া ঐশ্বর্য, লালন সংগীতশিল্পী নাজমুল হাসান প্রভাত ও শিল্পী ব্রজেন্দ্র রায়।
উৎসবটি মুজিব বর্ষ ২০২০-২১’কে উৎসর্গ করা হয়। তাই দ্বিতীয় দিন ছিল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা আয়োজন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিদেশী অতিথিদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করা হয়। সে সময়ে উপস্থিতিদের সামনে লালী সংগীত তুলে ধরেন ভারতের লালী সংগীত গবেষক অধ্যাপক শমীক ঘোষ ও মানসী দাস। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ১ম বাংলা আদি সংস্কৃতি উৎসবের প্রধান সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতান ঐক্য, সমন্বয়ক মেহেদী হাসান, সমন্বয়ক রাশেদ শিকদার ও উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ।
সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপনী ঘটে। ২০২১ সালের ১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি ‘২য় বাংলা আদি সংস্কৃতি উৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান আয়োজকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
জেআইএম