২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড় জমান জীবনমুখী গানের বনেদী সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরী। বছর ঘুরে ১৩ বার এলো গুণী এই সংগীতশিল্পীর চলে যাওয়ার দিন-তারিখ।
হ্যাঁ, বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সঞ্জীব চৌধুরীর ১৩তম প্রয়াণদিবস। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ২০০৭ সালের আজকের দিনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন কথা, সুর, কণ্ঠ ও সংগীতের সমৃদ্ধ এই সূত্রধর।
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সঞ্জীব চৌধুরী। হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। এরপর ঢাকার বকশী বাজার নবকুমার ইন্সটিটিউটে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৭৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১২তম স্থান অর্জন করেন।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। আশির দশকে শুরু করেন সাংবাদিকতা। আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি শুরুর দিকে ‘শঙ্খচিল’ নামের একটি দলে সংগীতচর্চাও করতেন। সেখান থেকে ১৯৯৬ সালে সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘দলছুট’। তাদের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় ব্যান্ডটির পথচলা। তৈরি হয় বেশ কিছু অ্যালবামে। এর মধ্যে- আহ্ (১৯৯৭), হৃদয়পুর (২০০০), আকাশচুরি (২০০২) ও জোছনা বিহার (২০০৭)।
সঞ্জীব চৌধুরীর গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আছে- ‘আমি তোমাকে বলে দিব’, ‘চোখটা এত পোড়ায় কেনো’, ‘বায়স্কোপ’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘রিকশা’, ‘কথা বলবো না’, ‘সাদা ময়লা রঙ্গিলা পালে আউলা বাতাস খেলে’, ‘তখন ছিল ভীষণ অন্ধকার’, ‘আহ ইয়াসমিন’ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া বাউল শাহ আবদুল করিমের ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইয়াছে’ এবং ‘গাড়ি চলে না’ শীর্ষক গান দুটি কণ্ঠে তুলে বেশ প্রশংসিত হন ক্ষণজন্মা এই গায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
ওএফবি