এখনও রহস্য কাটেনি বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে। আপাতত দেশের তিন কেন্দ্রীয় সংস্থা সুশান্ত মৃত্যু মামলা ও তার সঙ্গে জড়িত অপর দুই মামলার তদন্তের দায়িত্বে।
অভিনেতার মৃত্যুর তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এই মৃত্যু নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে একপ্রকার প্রকাশ্য সংঘাতে জড়িয়েছে বিহার ও কেন্দ্র সরকার। এবার এই মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে চাইলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
গত আগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার মুম্বাই পুলিশের হাত থেকে তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত, সিবিআই এখনও জানাল না এটা আত্মহত্যা নাকি খুন! আমি আবেদন জানাচ্ছি সিবিআইয়ের কাছে যে, তারা নিজেদের তদন্তে ওঠে আসা অনুসন্ধানগুলো প্রকাশ্যে আনুক যত তাড়াতাডি সম্ভব।
গত ১৪ জুন বান্দ্রার কার্টার রোডের ফ্ল্যাট থেকে মেলে সুশান্তের দেহ। মুম্বাই পুলিশের তরফে এই মামলাকে নেহায়েতই আত্মহত্যার ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে, খুনের সন্দেহও তীব্র হয়েছে পরিবার ও বিভিন্ন মহলে দাবির মুখে।
গত ২৫ জুলাই সুশান্তের মৃত্যুর ৪০ দিনের মাথায় অভিনেতার গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। বিহার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল সুশান্তের পরিবার। এরপর কেন্দ্রের কাছে এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানান নীতিশ কুমার। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিহার পুলিশের এফআইআরকে অবৈধ বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রিয়া চক্রবর্তী। তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকারও। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মামলা যায় সিবিআইয়ের হাতেই।
এদিকে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর এইমসের ছয় ফরেনসিক চিকিৎসকের কমিটির রিপোর্ট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে জমা পড়ে। সংবাদ মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায় টিমের প্রধান সুধীর গুপ্তার মেসেজ, যেখানে তিনি দাবি করেছেন, আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত। যদিও গত তিন মাসে এই নিয়ে মুখে কুলুপ সিবিআইয়ের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
ওএফবি