ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

চলচ্চিত্রে রাষ্ট্রীয় অনুদানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
চলচ্চিত্রে রাষ্ট্রীয় অনুদানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবি

ঢাকা: বিগত বছরগুলোতে চলচ্চিত্রের রাষ্ট্রীয় অনুদান ক্রমান্বয়ে বিতর্কিত হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদ৷ একইসঙ্গে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অনুদানপ্রাপ্ত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের মান ও গুণ উভয়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটি৷

এতে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক চলচ্চিত্র নির্মাতা বেলায়াত হোসেন মামুন।

এসময় চলচ্চিত্র অনুদানের বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র পর্ষদের ঢাকা বিভাগের আহ্বায়ক চলচ্চিত্র নির্মাতা নির্তেশ সি দত্ত, ঢাকা বিভাগের সদস্য সচিব আহমেদ হিমু, সহ-সদস্য সচিব রুমকী রুসা এবং তানভীর আহমেদ প্রমুখ।

বেলায়াত হোসেন মামুন বলেন, আমরা চাই চলচ্চিত্র অনুদানের এ রাষ্ট্রীয় প্রণোদনাটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় গতিশীল থাকুক। আমরা চাই চলচ্চিত্র অনুদান কেবলমাত্র শিল্পগুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রের জন্য সংরক্ষিত থাকুক। চলচ্চিত্র অনুদান দেশের তরুণ চলচ্চিত্রকর্মীদের সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ করুক। চলচ্চিত্র অনুদানপ্রাপ্তিতে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক তদবির বা অন্যান্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অবসান হোক।

বক্তারা বলেন, সরকার ১৯৭৬-১৯৭৭ অর্থবছর থেকে চলচ্চিত্রে অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা প্রণয়ন করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের দাবির মুখে সরকার দেশীয় চলচ্চিত্রে শিল্পগুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এ অনুদান দেওয়ার পদ্ধতি শুরু করেছিল। শুরুর পর্যায়ে চলচ্চিত্র অনুদানেই নির্মিত হয়েছিল ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ বা ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’র মতো কালজয়ী চলচ্চিত্র কীর্তির। কিন্তু চলচ্চিত্র অনুদানে এ শিল্পগুণধর্মী চলচ্চিত্রের ধারা বহমান থাকেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
ডিএন/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।