অভিনেতা শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খানকে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির করা হয়। এদিন আরিয়ান ও অন্য ৭ জনকে আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিচারকি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই রায়ের পর আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে অন্তবর্তীকালীন ও পূর্ণ জামিন আবেদন করেন। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) এর শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন আদালতে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেন আরিয়ান।
প্রশ্ন তুলে আরিয়ান বলেন, ‘পার্টিতে ১৩০০ লোক ছিল। কিন্তু গ্রেফতার করা হলো শুধু ১৭ জনকে। ’ একইসঙ্গে আরিয়ান দাবি করেন, প্রমোদতরীতে ওঠার সময় তার ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে মাদক পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এনসিবি) দাবি, মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। গ্রেফতারি পরোয়ানায় হাতে লিখে নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করেছিলেন আরিয়ান। আরিয়ানের সেই হাতে লেখা বয়ানও আদালতে দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
এদিন আরিয়ান জানিয়েছেন, প্রতীক নামে তার এক বন্ধু এই পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে তার আলাপ করেন। শাহরুখ খানের পুত্র এলে পার্টির জাঁকজমক বেড়ে যাবে, এই কারণেই নাকি ডেকে নেওয়া হয়েছিল আরিয়ানকে।
আরিয়ান জানান, প্রমোদতরীতে ওঠার পরেই তার ব্যাগ তল্লাশি করেন এনসিবি-র কর্মকর্তারা। কিন্তু তার কাছ থেকে কোনো মাদক পাননি।
আরিয়ান বলেছেন, ‘ওই পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আরবাজের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু তার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি যুক্ত নই। ’
অন্যদিকে, এনসিবি-র তদন্ত বলছে, আরিয়ান এবং আরবাজ মাদক সংগ্রহ করতেন একই ব্যক্তির কাছ থেকে। তাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে নাকি এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২১
এনএটি