বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান শুক্রবারও (৮ অক্টোবর) জামিন পাননি। আরিয়ানের আইনজীবী অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করলে সেটি খারিজ করে দেন আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) আরিয়ানকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত। এর এরপরেই আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে তার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন।
এদিন মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এনসিবি) পক্ষের আইনজীবী আনিল সিং ও আরিয়ান খানের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে মধ্যে দীর্ঘক্ষণ তর্কবিতর্ক চলে। তবে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যায় অনিল সিং। এদিন আরিয়ান ছাড়াও আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত।
এদিকে, শুক্রবার আদালতে নিজের চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেন আরিয়ান। প্রশ্ন তুলে আরিয়ান বলেন, ‘পার্টিতে ১৩০০ লোক ছিল। কিন্তু গ্রেফতার করা হলো শুধু ১৭ জনকে। ’
একইসঙ্গে আরিয়ান দাবি করেন, প্রমোদতরীতে ওঠার সময় তার ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে মাদক পাওয়া যায়নি।
যদিও এনসিবির দাবি, মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। গ্রেফতারি পরোয়ানায় হাতে লিখে নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করেছিলেন আরিয়ান। আরিয়ানের সেই হাতে লেখা বয়ানও আদালতে দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
আরিয়ান জানিয়েছেন, প্রতীক নামে তার এক বন্ধু এই পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে তার আলাপ করেন। শাহরুখ খানের পুত্র এলে পার্টির জাঁকজমক বেড়ে যাবে, এই কারণেই নাকি ডেকে নেওয়া হয়েছিল আরিয়ানকে।
আরিয়ান বলেন, ‘ওই পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আরবাজের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু তার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি যুক্ত নই। ’
এনসিবি-র তদন্ত বলছে, আরিয়ান এবং আরবাজ মাদক সংগ্রহ করতেন একই ব্যক্তির কাছ থেকে। তাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে নাকি এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী সতীশ বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটগুলো ডাউনলোড করতে কত সময় লাগে? চ্যাটগুলো ফুটবল সংক্রান্ত ছিল। সেখানে কোনো মাদকের কথা ছিল না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২১
এনএটি