বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) ঘুষ লেনদেন করেছে-এমন অভিযোগ তুলেছেন মামলার এক সাক্ষী। তবে এই অভিযোগ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে এনসিবি।
ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর, আরিয়ান গ্রেফতারের পর সেলফি তুলে আলোচনায় এসেছিলেন কিরণ পি গোসাভি নামের এক ব্যক্তি। এই আলোচনার পর এনসিবি জানায়, কিরণ পি গোসাভি তাদের কেউ নয়। তাকে এই মামলার সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যদিও পলাতক রয়েছে কিরণ।
কিরণ পি গোসাভির দেহরক্ষী দাবি করেন প্রভাকর সেইল এক হলফনামায় জানিয়েছেন, এনসিবি তাকে ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে। তিনি শুনেছেন, আরিয়ানের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ১৮ কোটি রুপির চুক্তি হয়েছে! এনসিবির আঞ্চলিক পরিচালক সমীর ওয়াংখেড়ে এবং প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর কে পি গোসাভির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে করেছেন তিনি। যেখানে আট কোটি রুপি সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়ার কথা হচ্ছিল।
কিরণ পি গোসাভি খোঁজ হওয়ার পর থেকেই সমীর ওয়াংখেড়ের কাছ থেকে বিপদের আশঙ্কা করছেন প্রভাকর সেইল। জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বলেও দাবি করেছের তিনি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রভাকর সেইলকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করেছিল এনসিবি।
যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করে এনসিবির আঞ্চলিক পরিচালক সমীর ওয়াংখেড়ে বলেছেন, তিনি এই অভিযোগের উপযুক্ত জবাব দেবেন।
এনসিবির অন্য একটি সূত্র বলেছেন, ‘এই হলফনামাটি এনডিপিএস আদালতে নেওয়া যেতে পারে। আমরা সেখানে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব। ’
টানা তিনবার এনডিপিএসের বিশেষ আদালতে আরিয়ানের জামিন আবেদন খারিজ হয়েছে। পরে বোম্বে হাইকোর্টে আরিয়ান খানের জামিন আবেদন করেছেন আইনজীবীরা। আসছে ৩০ অক্টোবর আরিয়ানের জামিন শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে।
মুম্বাইয়ের উপকূলে একটি প্রমোদতরীতে চলমান মাদক পার্টি থেকে ২ অক্টোবর রাতে আরিয়ান খানসহ মোট আট জনকে আটক করে এনসিবি। এরপর দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর ৩ অক্টোবর বিকেলে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার দেখায় এনসিবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
এনএটি