ঢাকাই সিনেমার প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর জন্মদিন বুধবার (৩ নভেম্বর)। তার পুরো নাম আরিফা পারভিন জামান মৌসুমী।
গেল অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতেই মেয়ে ফাইজাকে নিয়ে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোতে যান মৌসুমী। সেখান থেকে আটলান্টায় মা ও ছোট বোন ইরিন জামানের কাছে আছেন এ অভিনেত্রী। এ কারণে এবার দেশের বাইরে মা ও মেয়েকে নিয়ে জন্মদিন উদযাপন করেছেন মৌসুমী।
তবে এ দিনটিতে মৌসুমীর স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানীর স্ট্যাটাসে খানিকটা আফসোসের আভাস পাওয়া গেল। স্ত্রী মৌসুমীর জন্মদিনে কয়েকটি ছবি শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানান ওমর সানী তবে তার সঙ্গে না থাকার আফসোস প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আমি তোমার জন্মদিনের উৎসব পালন করছি দীর্ঘ ২৭ বছর। কিন্তু আজকের জন্মদিনটি তোমার জন্য আমার পরিবারের জন্য একটা অন্যরকম তাৎপর্য, একসঙ্গে থাকার ইচ্ছে ছিল আমার। ’
যোগ করে এ অভিনেতা আরও লেখেন, ‘যাক আল্লাহর হুকুমে কর্মের কারণে তুমি বাংলাদেশের বাইরে আছো, সারা জাহানের মালিক আমাদের আল্লাহ তোমাকে সুস্থ রাখুন, হায়াত দারাজ করুন। প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী শুভ জন্মদিন। ’
এদিকে মৌসুমী বলেন, ‘আমার চেয়ে আমার মায়ের কাছে আমার জন্মদিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি জন্মদিনকে ঘিরে তেমন কোনো পরিকল্পনা করি না। আমার পরিবার, প্রিয়জনরাই এই দিনে বেশি আনন্দ-উচ্ছ্বাসে থাকেন। এখন যেহেতু দেশের বাইরে আছি- তাই হয়তো স্বল্প পরিসরেই জন্মদিন উদযাপন করব। সানী, ফারদিন ও বৌমাকে খুব মিস করছি। ’
মৌসুমী আমেরিকা যাওয়ার আগে সৈয়দ আপন আহসানের নির্দেশনায় একটি তথ্যচিত্র, তোহা মোরশেদের পরিচালনায় একটি তেলের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। এছাড়া নির্মাতা জাহিদ হোসেনের সিনেমা ‘সোনার চর’, আশুতোষ সুজনের ‘দেশান্তর’, মির্জা সাখাওয়াত হোসেনের ‘ভাঙ্গন’ সিনেমার কাজ করেন।
১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট ওমর সানীর সঙ্হে ঘর বাঁধেন মৌসুমী। এই দম্পতির ফারদিন এহসান স্বাধীন নামের এক ছেলে ও ফাইজা নামে এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে ফারদিনকে চলতি বছরের মার্চে বিয়ে দিয়েছেন সানি-মৌসুমী। তাদের পুত্রবধূ সাদিয়া রহমানেরর জন্ম কুমিল্লায়। তবে তার বেড়ে উঠা ও পড়াশোনা কানাডায়।
১৯৯৩ সালে ক্ষণজন্মা চিত্রনায়ক সালমান শাহর বিপরীতে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে মৌসুমীর। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এ অভিনেত্রীকে। একের পর এক দর্শক নন্দিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।
মৌসুমী দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘মেঘলা আকাশ’ ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
মৌসুমী অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাতা হিসেবে সাফল্য পেয়েছেন। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’। এরপর তিনি ২০০৬ সালে ‘মেহের নিগার’ পরিচালনা করেন। এরপর নির্মাণ করছেন ‘শূন্য হৃদয়’, ‘ভালোবাসবোই তো’ নামের দুটি সিনেমা।
মৌসুমী গানেও বেশ পারদর্শী। ২০০৪ সালে জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার একটি গানে কণ্ঠ দেন। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘তারকাঁটা’ সিনেমায় ‘কি যে শূন্য লাগে তুমিহীনা’ গানে কণ্ঠ দেন এ অভিনেত্রী।
শোবিজের বাইরে জাতিসংঘের শিশু তহবিল সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছেন মৌসুমী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২১
এনএটি