একুশে পদকপ্রাপ্ত নজরুল সংগীতশিল্পী শবনম মুশতারী স্মৃতিশক্তি হারিয়ে কাউকে চিনতে পারছেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বর্তমানে বাসায় রেখেই তার চিকিৎসা চলছে।
শবনম মুশতারী ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। দুই বছর আগে তার এই রোগ ধরা পড়ে। এসব তথ্য জানিয়ে শবনম মুশতারীর ছোট বোন ইয়াসমীন মুশতারী।
তিনি বলেন, ‘শবনম মুশতারী স্মৃতিশক্তি হারিয়েছেন। কাউকে চেনেন না, কথায় অসংলগ্নতা রয়েছে। তবে কাউকে না চিনলেও তা বুঝতে দেন না। ’
গেল বছর শবনম মুশতারী স্ট্রোক করে। দুই বছর তার ভুলে যাওয়ার ব্যাপারটা ছিল, কিন্তু এক বছর ধরে কাউকে চিনতে পারছেন না। একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিন মাস আগে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয় এই শিল্পীর। আপাতত বাসায় নার্স রেখে তার চিকিৎসা চলছে। তবে খাওয়াদাওয়া স্বাভাবিক আছে।
শবনম মুশতারীর জন্ম নওগাঁয়। ষাটের দশক থেকে গানের সঙ্গে যুক্ত শবনম মুশতারী। তার বাবা নজরুল একাডেমীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব কবি তালিম হোসেন। মা মাফরুহা চৌধুরী ছিলেন দৈনিক বাংলা পত্রিকার মহিলাবিষয়ক পাতার সম্পাদক, কথাসাহিত্যিক।
তার ছোট দুই বোন ইয়াসমিন মুশতারী ও পারভীন মুশতারীও নজরুল সংগীতশিল্পী। তার দুই ভাই শাহরিয়ার চৌধুরী ডেটা অ্যানালিস্ট ও হাসনাইন চৌধুরী বিমানের ক্যাপ্টেন।
বিবাহিত জীবনে শবনম মুশতারীর এক ছেলে, এক মেয়ের জননী। ছেলে পাইলট ও মেয়ে বিয়ে করে সংসারী।
শবনম মুশতারী সর্বশেষ চার বছর আগে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত তার একক গানের অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন। এরপর জনসমক্ষে আর গাইতে দেখা যায়নি তাকে।
দীর্ঘ সংগীতজীবনে আধুনিক ও নজরুলসংগীতের ১০টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে শবনম মুশতারীর। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘লাইলী তোমার এসেছে ফিরিয়া’, ‘বেস্ট অব শবনম মুশতারী’, ‘প্রিয় কবির প্রিয় গান’, ‘প্রিয় এমন রাত’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২১
এনএটি