আরিয়ান খানের মাদক মামলা তদন্ত থেকে সরিয়ে দেয়া হলো ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে। ভারতের কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক এ সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্রুজ ড্রাগস পার্টি মামলার তদন্তকারী দলে থাকছেন না এই অফিসার।
সম্প্রতি সমীরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনেন আরিয়ানের মামলার পঞ্চনামায় উল্লেখিত সাক্ষী প্রভাকর সেইল। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী নবাব মালিকও বারবার আক্রমণ করেছেন সমীরকে।
ইতোমধ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে সমীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও চালাচ্ছে এনসিবি। এর মধ্যেই দিল্লিতে এনসিবির সদর দফতর থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আরিয়ানসহ মোট পাঁচটি হাইপ্রোফাইল মাদক-মামলা এবার সেন্ট্রাল ইউনিটের হাতে হস্তান্তর করা হবে। এ কারণে মুম্বাই জোনাল টিমের হাতেই আর থাকছে না আরিয়ানের মামলার তদন্ত।
এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মুথা অশোক জৈন জানান, সমীর ক্রুজ ড্রাগ মামলার তদন্তকারী দলে থাকছেন না। কিন্তু এনসিবির মুম্বাই জোনাল ডিরেক্টের পদে থাকবেন। অন্য সকল মামলা তার নজরদারির আওতাতেই থাকবে।
গেল সোমবার দিল্লিতে অবস্থিত এনসিবি’র প্রধান কার্যালয়ে হাজির ছিলেন সমীর। পাশাপাশি ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউলড কাস্টসের চেয়ারপারসন বিজয় সম্পলার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন নবাব মালিক।
গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে ২ অক্টোবর আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচাসহ আটজনকে আটক করে এনসিবি। এরপর ১৬ ঘণ্টা জেরার পর তাদেরকে গ্রেফতার করে এনসিবি। এনসিবির দলটির নেতৃত্বে ছিলেন সমীর। পরে ওই মামলায় সবমিলিয়ে মোট ২০ জনকে গ্রেফতার হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২১
এনএটি