জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন বর্তমানে নিয়মিত নাটকে অভিনয় করে যাচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নতুন একটি একক নাটকের শুটিং করলেন এ অভিনেত্রী।
বাংলানিউজ: ‘স্বজন’ নাটকে আপনার চরিত্রটি কেমন?
সারিকা: নাটকের গল্পে একটি স্বামী-স্ত্রী থাকবে, তাদের চার-পাঁচ বছরের একটা বাচ্চা আছে। মফস্বল এলাকায় তাদের বসবার। তবে কাজের সন্ধানে স্বামী শহরে যায়। স্ত্রীকে বলে, শহরে সে অনেক বড় চাকরি করে। কিন্তু সেখানে প্রতারণার মতো কাজ করে। সেটা আবার তার স্ত্রী জানে না। একটা সময় দেখা যায় সে নিজেই একটা বড় সমস্যায় পরে এবং নিজের অপরাধ বুঝতে পারে। এখানে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে স্ত্রী’র চরিত্রটিতে আমাকে দেখা যাবে।
বাংলানিউজ: নাটকটিতে অভিনয়ের আগে প্রস্তুতি নিয়েছেন?
সারিকা: স্ক্রিপ্ট পড়েছি। গল্পটা নিয়ে ডিরেক্টরের সঙ্গে বসেছি। কথা বলেছি- কীভাবে গল্পটা ফুঁটিয়ে আনা যায় পর্দায়। একটি নাটকের ক্ষেত্রে দুই দিন অনেক কম সময়। কিন্তু সিস্টেমটা এমন হয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রাথমিক যে প্রিপারেশন থাকে সেগুলোই নেওয়া হয়েছে।
বাংলানিউজ: যখন অভিনয় শুরু করেছিলেন তখনকার তুলনায় বর্তমান সময়ের নাটকের মান কেমন?
সারিকা: ভালো-খারাপ কাজ সব সময় হয়েছে। সব জায়গাতেই হয়। ভালো কাজও হচ্ছে, খারাপ কাজও হচ্ছে। সবগুলোতো নাটকতো আর সমানে সমান হবে না। কিছু চরিত্রে অভিনয় করে নিজের মধ্যেই তৃপ্তি লাগে। আবার একজন শিল্পী হিসেবে কিছু কাজ করি কিন্তু তৃপ্তি লাগে না। তবে গল্প, প্রেক্ষাপট মিলিয়ে অনেক বাস্তববাদী আমাদের নাটক। তাই বাংলাদেশের নাটককে সব সময় বলি ভেরি বেটার।
বাংলানিউজ: এই সময়ে এসে গল্প না চরিত্রকে প্রাধান্য দিচ্ছেন?
সারিকা: আমি মনে করি একটি কাজের ক্ষেত্রে গল্প, চরিত্র, ডিরেক্টর, কো-আর্টিষ্ট সব কিছু গুরুত্বপূর্ণ। আমি সেটা দেখেই কাজ করি।
বাংলানিউজ: সাত-আট বছর আগের মতো সারিকাকে পাওয়া যাচ্ছে না, এটা ফিল করেন?
সারিকা: অভিনয় থেকে বিরতির নিয়েছিলাম অনেক আগে। সেখান থেকে ফিরেছি। আর গত বছর থেকে নিয়মিত কাজ করছি। শেষ দুই ঈদেই আমার বেশ কিছু কাজ প্রচার হয়েছে। আর জনপ্রিয়তা আপস অ্যান্ড ডাউনের বিষয় নেই এখানে। নতুনরা আসবে কাজ করবে এটা স্বাভাবিক। কেউ সারাজীবন স্থায়ী না। কিন্তু দর্শকরা এখনও ভালোবাসে্ন বলেই এখনও কাজ করছি। এই তৃপ্তিটা অনেক। দর্শকদের জন্যই কাজ করে করছি।
বাংলানিউজ: নাটকপাড়ায় প্রায়ই সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়, এমন বিষয়ের মুখোমুখি হয়েছেন?
সারিকা: আমি সিন্ডিকেট বুঝি না। আমি আমার কাজটাকে ভালোবাসি, কাজ করি। সেটে আসি, মনোযোগ দিয়ে কাজ করি। কাজটা শেষ করে বাসায় যাই।
বাংলানিউজ: ওটিটিতে কাজ না করার কারণ কী?
সারিকা: অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য বেশ কিছু কাজের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু কেন যেন করা হচ্ছে না আমি নিজেও জানিনা। করা হয়নি বলে যে আর করবা না বিষয়টা এমন না। হয়তো সামনে করবো।
বাংলানিউজ: ওটিটিতে অভিনয় না করলেও কাজ দেখছেন, ভবিষৎ কেমন?
সারিকা: ওটিটির অনেক ব্রাইট ফিউচার। ভালো মানের কাজ হচ্ছে। এখানে গল্প ভালো, বাজেট বেশি, শুটিং টাইম বেশি। এক ধরনের দর্শকও তৈরি হয়েছে। অবশ্যই ওটিটি ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম। তবে মানসম্মত কাজ দিয়েই দর্শক ধরে রাখতে হবে।
বাংলানিউজ: সিনেমাতে কাজ করেননি, ওয়েব ফিল্মে কাজ করবেন?
সারিকা: অনেক সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। সামনে মানসম্মত গল্প, চরিত্র পেলে কাজ করবো। তবে আমার প্রত্যাশা হয়ে গেছে অনেক হাই। সেই জায়গা থেকে যদি সবকিছু মনমতো পাই অবশ্যই কাজ করবো। সেটা ওয়েবফিল্ম ও হতে পারে আবার মেইনস্ট্রিমের সিনেমাও হতে পারে।
বাংলানিউজ: কাজের বাইরে মেয়েকে সময় দিতে পারছেন?
সারিকা: কোনও না কোনও ভাবে কাজের ফাঁকে মেয়ের জন্য সময় বের করে নিতে হয়। নিয়মিত কাজ করছি তবে, ৩০ দিনও কাজ রাখছি না। মাঝখানে মেয়েকে সময় দেওয়ার জন্যই কয়েকদিন সময় রাখছি। আবার দেখা যায়, সকালে বের হওয়ার আগে ঘুম থেক উঠিয়ে ক্লাসে বসিয়ে দিয়ে আসি। রাতে আবার বাসায় ফিরে যতোটা পারি সময় দিচ্ছি। আর আমার ছুটির দিন মানেই মেয়ের নিয়ে থাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
এনএটি