গীতিকার মেহবুবুল হাসান রাসেলের (৪৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মরদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়।
রাসেলের মৃত্যুকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সুইসাইড নোটের সত্যতার পাশাপাশি আত্মহত্যার কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে জানান তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আবুল কালাম।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন লিচু বাগান এলাকার নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাসাটিতে রাসেলের সঙ্গে তার মা ও ছোট ভাই থাকেন।
পরিবারের বরাদ দিয়ে পুলিশ জানান, রাতে খেয়ে নিজের রুমে যান রাসেল। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা খোঁজ নিতে গিয়ে ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে। সেখান থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে পুলিশ।
এই সুইসাইট নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ী নয়। আমি স্বেচ্ছায় আত্মহনন করলাম। এর সঙ্গে কাউকে যুক্ত করা যাবে না এবং আমার দেহের কোন পোস্টমর্টেম হবে না। ’ সঙ্গে ছিল তার একটি সাক্ষর।
এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি কাজী আবুল কালাম বলেন, সুইসাইড নোটের হাতের লেখা রাসেলের বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন তার পরিজন ও বন্ধুরা। এ বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হবে।
মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এর পরেই নিয়ম অনুযায়ী স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
গীতিকার মেহবুবুল হাসান রাসেল (রাসেল ও’নীল) নামে পরিচিত। ‘দিন বাড়ি যায়/ চড়ে পাখির ডানায়’-এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা রাসেল। গানের পাশাপাশি অসংখ্য বিজ্ঞাপনের জিংগেলও লিখেছেন তিনি। তার লেখা অধিকাংশ গান দলছুট এবং বাপ্পা মজুমদারের গাওয়া।
রাসেল ও’নীল একসময় সাংবাদিকতায়ও যুক্ত ছিলেন। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় যুক্ত হন। তবে গেল দেড় বছর ধরে রাসেল চাকরিহীন ছিলেন। একপর্যায়ে তাকে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসনকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
এনএটি