ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

পরিমনির মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যাবে রাষ্ট্রপক্ষ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২২
পরিমনির মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যাবে রাষ্ট্রপক্ষ পরীমনি

ঢাকা: রাজধানীর বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ।

এ তথ্য জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।

এর আগে মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুলসহ আদেশ দেন। রুলে এ মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।  

৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম তিনজনের অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার।

চার্জ শুনানিকালে তিন আসামি আদালতে উপস্থিত হন। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থনা করা হয়।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। এরপর তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তারা দোষী না নির্দোষ। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এরপর আদালত চার্জ গঠনের আদেশ দেন।  

পরে পরীমনি হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। এদিকে বিচারিক আদালতে মঙ্গলবার এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ আগস্ট চারদিন ও ১০ আগস্ট দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।  

এরপর ১৯ আগস্ট আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন তিনি কারামুক্ত হন।

গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।  

২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২২
ইএস/এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।