আত্মহত্যা নাকি হত্যা, ওপার বাংলার ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুর রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি। তবে একে একে বেরিয়ে আসছে তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে নিয়ে নানা তথ্য।
প্রেমিক সাগ্নিকের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে ‘লিভ ইন’-এ ছিলেন পল্লবী। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় তারা নিজেদের ‘বিবাহিত’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। ওই বাড়ির প্রত্যেকে তাই জানত।
এদিকে মেয়ের মৃত্যুর পর পল্লবীর বাবা দাবি করছেন, সাগ্নিক আগে থেকেই ‘বিবাহিত’ ছিলেন। সেই পরিচয় লুকিয়েই তিনি অভিনেত্রীর সঙ্গে থাকা শুরু করেন। এছাড়া পল্লবী শুটিংয়ে চলে গেলে তার স্ত্রী বাড়িতেও আসতেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর দাবি করেছিলেন, ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছেন তিনি। দ্রুতই তা কার্যকর হবে।
এছাড়া পল্লবীকে তার প্রেমিক সাগ্নিক মারধর করতেন বলেও অভিযোগ অভিনেত্রীর বাবার। মারের দাগও নাকি রয়েছে তার শরীরে।
পল্লবীর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর সাগ্নিককে কাস্টডিতে রেখেছে পুলিশ। আর তার পরিবার উল্টো অভিযোগ করে, লিভ ইন-এ থাকায় মদত ছিল পল্লবীর পরিবারের। অভিনেত্রীর পরিবার নাকি ফ্ল্যাটটি দেখে দিয়েছিলেন। মেয়ের কাছে এসে থাকতেনও তারা।
ওপার বাংলার ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করছে পরিবার।
রোববার (১৫ মে) সকালে কলকাতার গড়ফারের একটি ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পল্লবীর মরদেহ।
উল্লেখ্য, রোববার (১৫ মে) সকালে কলকাতার গড়ফারের একটি ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পল্লবীর মরদেহ। এরপরই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। মাত্র এক মাস আগেই প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেন এই তারকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
জেআইএম