জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদের জন্মদিন মঙ্গলবার (০৭ জুন)। এদিন ৪৮ পেরিয়ে ৪৯ বছরে পা দিলেন তিনি।
সোমবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকেই অসংখ্য শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন নায়ক ফেরদৌস। এখনো পাচ্ছেন। ফেরদৌসের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিও।
বিশেষ এ দিনে সবার কাছে দোয়া চেয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘সবার দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আজকের দিনটি ভালোভাবে কাটাতে চাই। ভক্তরা এখনও জন্মদিনে উপহার পাঠান ভক্তরা। অভিনয় ক্যারিয়ারে ভক্তদের ভালোবাসাই আমার কাছে সেরা অর্জন। এই সান্তনা যে, অভিনয় দিয়ে জীবনে কিছু করতে পেরেছি। ’
জন্মদিনে সেরা উপহারের বিষয়ে ফেরদৌস বলেন, গেল বছরের জন্মদিনে রাত ঠিক ১২টার সময় একটা কেক নিয়ে হাজির হলো মেয়েরা (নুযহাত ও নামিরা)। জানাল শুভ জন্মদিন। বাবার জন্মদিন উপলক্ষে নিজ হাতে কেকটা বানিয়েছিল তারা। মেয়েদের কাণ্ড দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। এই কেকই আমার জীবনে পাওয়া সেরা উপহার।
বর্তমানে বর্ষীয়ান নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘সুজন মাঝি’ সিনেমায় অভিনয় করছেন ফেরদৌস। এছাড়া আফজাল হোসেনের ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’, হৃদি হকের ‘১৯৭১ : সেই সব দিনগুলি’, নঈম ইমতিয়াজের ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ এবং নুরে আলমের ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’ সিনেমাগুলোতে কাজ করছেন তিনি।
ফেরদৌস প্রথম ক্যামেরার সামনে আসেন ১৯৯৭ সালে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘বুকের ভিতর আগুন’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর ১৯৯৮ সালে এককভাবে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত ‘পৃথিবী আমারে চায় না’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। একই বছর ভারতের চলচ্চিত্রকার বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর থেকে তিনি একাধারে বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। এছাড়াও ‘মিট্টি’ নামের বলিউডের চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
তবে দুই-একটি ছাড়া কোনো সিনেমাতেই কাজ করে শতভাগ তৃপ্তি পাননি এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘‘এখন এসে মনে হয়, আমার অভিনয় সত্তাকে শতভাগ কাজে লাগানো হয়নি। সেই জায়গা থেকে কিছু অতৃপ্তি রয়ে যায়। ‘গঙ্গাযাত্রা’র মতো যদি আরেকটি সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পাই, তা হলে আরো অনেক বেশি জাস্টিফাই করতে পারব। তখন নিজেকে আরও ভাঙব। সেরকম একটি চরিত্রের অপেক্ষায় আছি। ’’
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২২
এনএটি