নব্বই দশকের ব্যান্ড শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় নাম সঞ্জয়। ‘ওয়ারফেজ’র ভোকাল ছিলেন সঞ্জয়।
পলাশ নিজেই এ কথা স্বীকার করলেন। সোমবার (২৭ জুন) সঞ্জয়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেন ‘ওয়ারফেজ’র বর্তমান ভোকাল।
সেখানে তিনি লেখেন, আপনার জন্যেই ব্যান্ড সংগীতকে হৃদয়ে লালন করেছি, আপনার জন্যেই নিজের ভেতরের শক্তিকে খুঁজে পেয়েছি, আত্মবিশ্বাসী হয়েছি বারবার, আপনিইতো আমার মেন্টর, আমার আইডল।
পলাশ নূর আবেগী হয়ে আরো লেখেন, স্বপ্নেও ভাবি নাই কখনো আপনার সঙ্গে পারফর্ম করবো! সেদিন আপনি আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন, আমার গায়কীর প্রশংসা করলেন, ভবিষ্যৎ-এর জন্য শুভকামনা করলেন। ভাষায় বলে বুঝানো সম্ভব না এই অনুভূতি! আমার যা পাবার তা পেয়ে গেছি। আপনার ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ কিংবদন্তি, সৃষ্টিকর্তা আপনার মঙ্গল করুক ‘‘গুরু”।
১৯৯১ সালে বাজারে নতুন ওয়ারফেজ নামক সঙ্গীত-সঙ্কলন (অ্যালবাম)। হার্ড রক আর হেভি মেটাল ধাঁচের গান ছিল এতে। এর মাধ্যমে একটু অন্য রকম বাংলা গানের স্বাদ পেলেন শ্রোতারা। সেই সময় ‘ওয়ারফেজ’-এর সঙ্গে সঞ্জয়ের নামও পরিচিতি পায় শ্রোতামহলে। এরপর ‘জীবনধারা’, ‘অবাক ভালোবাসা’, ‘অসামাজিক’ অ্যালবামগুলো বেশ সাড়া পাওয়ার পর ১৯৯৮ দলটি থেকে বিদায় নেন সঞ্জয়।
১৯৯৯ সালে ‘ওয়ারফেজ’-এ মিজান, বালাম, শামস ও বিজু যোগ দেন। ২০০০ সালে তাদের পঞ্চম স্টুডিও অ্যালবাম ‘আলো’ বাজারে আসে। একটা সময় ব্যান্ডটি ত্যাগ করেন ভোকাল মিজানও। তখন লিড গিটারিস্ট থেকে বালাম উন্নীত হন প্রথম ভোকাল হিসেবে। কিন্তু একটা সময়ে আবারো ওয়ারফেজে ফিরে আসেন মিজান। আর ২০০৭ সালে ‘ওয়ারফেজ’ ত্যাগ করেন বালাম।
এরপর আবারো ব্যান্ডটি থেকে বিদায় নেন মিজান। তারপর নতুন ভোকাল খুঁজতে থাকে তারা। অবশেষে ২০১৬ সালে লিড ভোকালিস্ট হিসেবে ‘ওয়ারফেজ’-এ যুক্ত হন পলাশ নূর।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ‘রেডিও অ্যাকটিভ’ ব্যান্ড নিয়ে ডি রকস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন পলাশ। ওই প্রতিযোগিতায় সেরা ব্যান্ড হয় ‘পাওয়ারসার্জ’, কিন্তু সেরা ভোকালিস্ট হয়েছিলেন পলাশ। কিন্তু ‘রেডিও অ্যাকটিভ’ ছেড়ে পলাশ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস (পিএনএফ) গড়েন। কিন্তু আবার ফিরে যান ‘রেডিও অ্যাকটিভ’-এ। আর সবশেষ যোগ দেন জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ‘ওয়ারফেজ’-এ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
এনএটি