ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সৈয়দ আব্দুল হাদী ও জয়া আহসানের জন্মদিন

বিনোদন ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২২
সৈয়দ আব্দুল হাদী ও জয়া আহসানের জন্মদিন সৈয়দ আব্দুল হাদী-জয়া আহসান

কিংবদন্তি সংগীত তারকা সৈয়দ আব্দুল হাদীর জন্মদিন শুক্রবার (০১ জুলাই)। আজ ৮২ বছরে পা রাখলেন এই গায়ক।

একই দিনে জন্মদিন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের।

সৈয়দ আব্দুল হাদীর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার, একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, এই পৃথিবীর পান্থশালায়, চোক্ষের নজর এমনি কইরা, চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিঁড়ে, এমনও তো প্রেম হয়, কারও আপন হইতে পারলি না, কেউ কোন দিন আমারে তো, যেও না সাথী, জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো, মনে প্রেমের বাত্তি জ্বলে, চোখ বুঝিলে দুনিয়া আন্ধার, সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তে তুমি, যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে, আমার বাবার কথা, আউল বাউল লালনের দেশে, বিদ্যালয় মোদের বিদ্যালয়সহ ইত্যাদি।

সৈয়দ আব্দুল হাদীর জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে। তিনি বেড়ে উঠেছেন আগরতলা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কলকাতায়। তবে তার কলেজজীবন কেটেছে রংপুর আর ঢাকায়।  

১৯৫৮ সালে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। ১৯৬০ সালে ছাত্রজীবন থেকেই চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন। তখনকার সিনেমায় প্লেব্যাক মানেই ছিল উর্দুতে গান গাওয়া। তবে ১৯৬৪ সালে ‘ডাকবাবু’ সিনেমায় একক কণ্ঠে প্রথম বাংলা সিনেমায় গান করেন তিনি। মো. মনিরুজ্জামানের কথায় সংগীত পরিচালক আলী হোসেনের সুরে সৈয়দ আবদুল হাদীর চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু।  

এরপর রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, ক্যাসেট, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মসহ প্রতিটি মাধ্যমেই তার বিচরণ। গানের পাশাপাশি টিভি অনুষ্ঠান প্রযোজনা, উপস্থাপনা, শিক্ষকতাসহ বেশ কিছু পেশায় নিয়োজিত ছিলেন সৈয়দ আব্দুল হাদী।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের জন্য পেয়েছেন পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বর্ণাঢ্য জীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ সৈয়দ আব্দুল হাদী একুশে পদকসহ পেয়েছেন অগণিত পুরস্কার ও সম্মাননা।

এদিকে, ১৯৮৩ সালের ১ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন জয়া আহসান। এই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার শুরু হয় নব্বই দশকের শেষদিকে মডেল হিসেবে। এরপর অভিনয় করেন নাটক-টেলিছবিতে। এরপর আসেন বড় পর্দায়। ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় নাম লেখান তিনি।  

এরপর নুরুল আলম আতিকের ‘ডুবসাঁতার’, নাসির উদ্দীন ইউসুফের ‘গেরিলা’, রেদওয়ান রনির ‘চোরাবালি’, অনিমেষ আইচের ‘জিরো ডিগ্রি’,  সাফি উদ্দিন সাফির ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি’, অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন। জয়া প্রথম বাংলাদেশি অভিনেত্রী, যিনি ‘ভারতের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন।  

২০১১ সালে ‘গেরিলা’য় অভিনয়ের জন্য প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান জয়া আহসান। এরপর ‘চোরাবালি’, ‘জিরো ডিগ্রি’ ও  ‘দেবী’তে অভিনয়ের জন্যও একই সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।  

কলকাতার সিনেমায় জয়া আহসান প্রথম অভিনয় করেন ২০১৩ সালে অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘আবর্ত’তে। এরপর সেখানেও একের পর এক দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। একাধিকবার পেয়েছেন সেখানকার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও।  

বর্তমানে কলকাতা ও ঢাকাই সিনেমায় সব বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া আহসান। তার অভিনীত মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।