শ্রীমঙ্গলে স্ত্রী হাবিবুননেসা গুলবানুর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান।
শনিবার (০৯ জুলাই) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের মহাজেরাবাদের জান্নাতুল ফেরদৌস কম্পলেক্সের মসজিদুল আউলিয়া হযরত খাজা শাহ মোজাম্মেল হক (রঃ)-এ জানাজা শেষে জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
আলম খানের ছেলে আরমান খান বলেন, পরিবার এবং সামাজিকভাবে কাছের মানুষকে নিয়ে দাফন সম্পন্ন করেছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে এখানে ভিড় হোক, আমরা চাইনি। এজন্য কাউকে আসার জন্য বলিনি।
শ্রীমঙ্গলে কবর দেয়ার বিষয়ে আরমান খান বলেন, আম্মাকে শ্রীমঙ্গলে কবর দেওয়ার পর থেকেই আব্বা বলেছিলেন, তিনি মারা যাওয়ার পর যেন সেখানেই কবর দেওয়া হয়। আব্বার ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের পাশেই কবর দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
শুক্রবার (০৮ জুলাই) বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান আলম খান। এদিন বাদ আসর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর রাতে মোহাম্মদপুরে দ্বিতীয় জানাজার পর আলম খানের মরদেহ দাফনের উদ্দেশ্যে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়।
অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান ৭ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। তার সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় হওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কি জাদু করিলা’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘সাথীরে যেও না কখনো দূরে’, ‘কাল তো ছিলাম ভালো’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২২
এনএটি