ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

পরীমণির নামে নাসিরের মামলা, পেছালো তদন্ত প্রতিবেদনের সময় 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২২
পরীমণির নামে নাসিরের মামলা, পেছালো তদন্ত প্রতিবেদনের সময় 

ঢাকা: মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণির নামে সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী বছর ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারহানা ইয়াছমিন প্রতিবেদন দাখিলের এদিন ধার্য করেন।

গত ৭ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালতে তিনি এই মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৮ জুলাই আদেশের দিন ধার্য করেন। এরপর গত ১৮ জুলাই আদেশে পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ- সিআইডিকে মামলা তদন্ত করে ৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় পরীমণি ছাড়াও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে আসামি করার আর্জি জানানো হয়েছে।

মামলায় বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।  

মামলায় আরো বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া একটার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।  

এতে আরো বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।

এক বছর আগে পরীমণি একই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মারধর ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। সেই মামলার বিচার এখন চলমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২২
কেআই/এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।