চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান বলেছেন, আমাদের সবার বার্তা একটাই, আইন অমান্য করে জাটকা ধরলে এ দুই মাসের অভিযানে কোনো জরিমানা নয়, জেল হবে। এতে কেউ তদবির করবেন না।
এ দুই মাসে আপনারা অনেক উৎপাদনশীল কাজ করতে পারেন। এ অভিযান মেনে না চললে আগামী পাঁচ বছর পর হয়তো নদীতে কোনো মাছই পাবেন না, যোগ করেন ডিসি।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা (অপরিণত ইলিশ) রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে শহরের মোলহেডে জেলা টাস্কফোর্স আয়োজিত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থপনা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জাটকা নিধন বন্ধে জনসচেতনতামূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দুই মাসের অভিযানটি সফল করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। দুই শিফটের অভিযানে জনপ্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন। অভিযান চলবে দুই মাস, কিন্তু চাল দেওয়া হয়েছে চার মাসের। আপনারা (জেলেরা) যেন লাভবান হতে পারেন, সেজন্যই এ অভিযান। অভিযান মেনে চললে দুই মাস পর আমরা বড় মাছ পাওয়ার সুযোগ পাব। চূড়ান্ত যে ফলাফল তা হচ্ছে, দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার মাশহাদ উদ্দিন নাহিয়ান, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হজরত আলী বেপারী, জেলা কান্ট্রি ফিসিং বোর্ড কমিটির সভাপতি শাহ আলম মল্লিকসহ অনেকে।
স্বাগত বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান। এসময় জেলে নেতা ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জেলেদের সচেতন করার লক্ষে সভা শেষে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মেঘনা মোহনা থেকে একটি নৌ র্যালি বের হয়। র্যালিতে জেলা টাস্কফোর্সের সদস্যরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৩
এসআই