ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

চাটমোহরে তেঁতুল গাছের হনুমানটি বিরল প্রজাতির

শামীম হাসান মিলন, চাটমোহর প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১২
চাটমোহরে তেঁতুল গাছের হনুমানটি বিরল প্রজাতির

চাটমোহর (পাবনা): তেঁতুলগাছের মগডালে বসে আছে বিরল প্রজাতির কালো মুখ ঈষৎ সাদা হনুমানটি। নিচে শত শত কৌতূহলী মানুষের ভিড়।

অনেকেই খাবার নিয়ে এসে ডাকছে। নিচে নেমে এসে খেয়ে আবার গাছে উঠে বসছে।

হঠাৎ আভির্ভূত কালো মুখ ঈষৎ সাদা রঙের বিরল প্রজাতির হনুমানটি এখন এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এটা বিরল প্রজাতির কালো মুখ সাদা হনুমান বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।

পাবনার চাটমোহর উপজেলা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে হরিপুর ইউনিয়নের বুড়িপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বারেক মিয়ার বাড়ির আঙ্গিনার বিশাল তেঁতুল গাছে হনুমানটি এখন অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার বিকেলে সরজমিন গিয়ে জানতে চাইলে আব্দুল বারেক জানান, গত শুক্রবার হঠাৎ করেই হনুমানটি এসে তার তেঁতুল গাছে ওঠে। সকালে খবর পেয়ে দূর-দূরান্তের নানা বয়সী মানুষ এসে ভিড় করছে হনুমানটি দেখতে।

বুড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তারা মিয়া বাংলানিউজকে জানান, রোববার এলাকার নূর ও গোলজার নামের দু’জন হনুমানটি ধরতে গাছে ওঠেন। হনুমানটি তাদের খামছে আহত করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা পালিয়ে যান।

তিনি বলেন, হনুমানটি শুকিয়ে গেছে। মানুষ ধরার চেষ্টা করছে। প্রচ- রোদে গাছে থাকায় মরেও যেতে পারে। সরকারি লোকজন ধরে চিড়িয়াখানায় নিয়ে গেলে হনুমানটি বাঁচতো।

ধুলাউড়ি গ্রামের কামাল জানান, এর আগে পাশের বড়াইগ্রামের দিঘইর, কুশমাইল ও মোমিনপাড়া এলাকায় হনুমানটিকে দেখেছে মানুষ।

হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন জানান, Òশনিবার খবর পেয়ে হনুমানটি দেখে এসে আমি ইউএনও সাহেবকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। Ó

পাবনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ সাঈদের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা খবরটা জানতে পেরেছি। বন বিভাগ থেকে রোববার হনুমানটি ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্ত গাছটি বড় হওয়ায় ওই দিন ধরা যায়নি।

তিনি জানান, এটা বিরল প্রজাতির কালো মুখ সাদা হনুমান। দু’এক দিনের মধ্যে হনুমানটি ধরা হবে বলে তিনি জানান।

সম্ভবত রাজশাহীর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা ফলের গাড়িতে অথবা যশোহরের কেশবপুর থেকে দলছুট হয়ে পথ ভুলে এখানে এসে থাকে আসতে পারে হনুমানটি।

বর্তমানে স্থানীয় দেখতে যাওয়া মানুষেরা পাউরুটি, কলা, পেঁপে খাইয়ে হনুমানটিকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

থানার পরিদর্শক (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, Òআমি খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে এলাকাবাসীকে হনুমানটি না মারতে বলে এসেছি। Ó

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১২

প্রতিবেদন: শামীম হাসান মিলন
সম্পাদনা: সাইফুল ইসলাম, কান্ট্রি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।