ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড রোধে ড্রোনে চলছে মনিটরিং, ক্ষতি নিরূপণে কমিটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৪
সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড রোধে ড্রোনে চলছে মনিটরিং, ক্ষতি নিরূপণে কমিটি

ঢাকা: বাগেরহাটে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির অধীন বনাঞ্চলের আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বন বিভাগের পক্ষ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।

 

ড্রোনের মাধ্যমে সোমবার তিনবার আগুনের ধোঁয়া শনাক্ত করে তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও যেসব স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছোট পরিসরে আগুন ও ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল, রোববার রাতে বনকর্মীরা দলভিত্তিক নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুপমেন্টের মাধ্যমে সেসব স্থানের আগুন নিভিয়ে ফেলেন।  

আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বন বিভাগের পক্ষ থেকে এখন ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। ড্রোনে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সোমবার তিনবার আগুনের ধোঁয়া শনাক্ত করে দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে বর্গকিলোমিটার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপ্তি ছিল ৭ দশমিক ৯ একর যার মধ্যে ৫ একর এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বনের আগুনের ক্ষেত্রে মাটির গভীরে গাছের শিকড়ে আগুন থেকে যায়, যা কয়েক ঘণ্টার পরে পুনরায় আগুনের বা ধোঁয়ার সূত্রপাত ঘটাতে পারে। সেজন্য যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার থেকে পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে বন বিভাগের টহল দল আগুন মনিটরিং এবং কোনো স্থানে নতুন কোনো আগুনের সূত্রপাত ঘটলে তা নিভিয়ে ফেলতে দায়িত্বে থাকবেন।

বর্তমানে ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের দল মঙ্গলবারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকবে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় কোস্ট গার্ড, নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সুন্দরবনের আগুন নির্বাপণ কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি ও সমন্বয় করছেন।

অপরদিকে, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেছে বন অধিদপ্তর। বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সইয়ে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দোকে সভাপতি এবং খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে সদস্য-সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।  

কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বনজসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়ন পূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৪
এমআইএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।