ঢাকা: সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ও খাদ্য শৃঙ্খল টিকিয়ে রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রাখা হরিণসহ সব ধরনের বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
একই সঙ্গে সম্প্রতি হরিণ শিকারে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বন সংরক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে হরিণ শিকারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি দেশের জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘শিকারির ফাঁদে থামে হরিণের ছুটে চলা’ শীর্ষক সংবাদ বেলার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ সময়ে নির্বিচারে শিকার করা হচ্ছে হরিণ। চোরা শিকারিরা মালা, ছিটকা ও হাঁটা ফাঁদ নামক বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে শিকার করছে হরিণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাঘের প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হরিণ শিকার প্রতিরোধ করা না গেলে সুন্দরবনের খাদ্য শৃঙ্খল নষ্ট হবে। তাতে পুরো সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে।
ইএস/এসআই