ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, সুন্দরবন ও বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যতিক্রমী রিকশা অভিযাত্রা সমাপ্তির পথে।
১৭ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করা এ অভিযাত্রা ২৫ ফেব্রুয়ারি সফলভাবে বাগেরহাটের মংলায় পৌঁছায়।
রিকশায় ৪শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার এ অভিযাত্রী দলে রয়েছেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮টি দেশের ২০ জন প্রকৃতিপ্রেমী। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কর্মরত সংস্থা ‘ওয়াইল্ড টিম’ “ওয়াইল্ড রিকশা চ্যালেঞ্জ” নামে ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ কর্মসূচির থিম নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘ডেয়ার টু কেয়ার ফর টাইগার্স’।
বর্ণিল সজ্জায় রিকশা অভিযাত্রীরা পথে পথে আকৃষ্ট করেন রাস্তার দুধারের হাজারো বাসিন্দাদের। তাদের পিছু নেয় শিশু-কিশোরের দলও। কৌতূহলী মানুষদের কাছে এই প্রকৃতিপ্রেমীরা তুলে ধরেন প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অপরিহার্যতার কথা।
১৯ ফেব্রুয়ারি অভিযাত্রী দল কক্সবাজার অতিক্রম করে চট্টগ্রামের পথে পাড়ি জমান। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তারা চকরিয়া শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি বরিশাল পৌঁছায় প্রকৃতিপ্রেমীদের এ রিকশা বহর। সেখান থেকে পিরোজপুর হয়ে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন করে সুন্দরবনের পথে যাত্রা করেন অভিযাত্রী দল।
সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পাশের জয়মুনি গ্রামে পৌঁছে সেখানকার অধিবাসীদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হন অভিযাত্রীরা।
গ্রামবাসী অভিযাত্রীদের ডাবের পানি খাইয়ে আপ্যায়িত করেন।
প্রকৃতি সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরির এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ডেনিস রাষ্ট্রদূত স্ফেন্ড অলিং।
অভিনব এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে বাঘ ও তার প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্ণিল রিকশা অভিযাত্রার মাধ্যমে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রযোজনীয়তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই আমাদের এ প্রয়াস। ’’
রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইয়াঙ্গুন করপোরেশন ও মনসন ফিল্মস এ রিকশা অভিযাত্রায় সহায়তা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৩
এআই/সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর