ঢাকা: ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কমর্সূচি’র আওতায় দেশের আটটি জেলার ১৬টি বিদ্যালয় গাছ লাগিয়ে পুরস্কার জিতে নিয়েছে।
২০১২ সালে বিতরণ করা গাছ লাগিয়ে ২০১৩ সালে জীবিত থাকায় সোমবার ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এ জন্য সোমবার বন ভবনের হৈমন্তী অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুর ১২টায় সংশ্লিষ্ট ১৬টি বিদ্যালয়ের প্রধানের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কৃত জেলাগুলো হচ্ছে- বরগুনা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার
এ সময় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের সমন্বয়কারী ও উপপ্রকল্প পরিচালক ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ প্রমোশন ইউনিট, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ডা. ইকবাল কবির, স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর প্রধান নুরুল আলম, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সারামত খোন্দকার, বন প্রধান সংরক্ষক ইউনুস আলী ও যুগ্ম সচিব (জনস্বাস্থ্য) সুভাষ চন্দ্র সরকার ও প্রকল্প পরিচালক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়াও বরগুনা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার পুরস্কারপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ক্রমবর্ধমান প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের স্বাস্থ্যখাত হুমকিতে পড়েছে। সিডর, আইলা ও মহাসেনের মতো দুর্যোগের পরে স্বাস্থ্যখাতকেই বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। তাই, এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশি করে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
এ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা গেলে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কমর্সূচির আওতায় ২০১২ দেশের আটটি জেলার ২৯টি উপজেলার ছয়শ ৭৭টি স্কুল ও মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ৬১ হাজার ৩৫ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে একটি ফলজ, একটি বনজ ও একটি ভেষজসহ মোট এক লাখ ৯৫ হাজার একশ নয়টি চারা বিতরণ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে থেকে যে সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ৭৫ ভাগ চারা ২০১৩ সালে জীবিত পাওয়া গেছে, তাদের মধ্য থেকে আট জেলার আট উপজেলার ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়, ২০১৩ সালে এ কর্মসূচির আওতায় দুই লাখ ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে সাত লাখ চারা বিতরণ করা হবে। একই সঙ্গে পুরস্কৃত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬ থেকে ২০টিতে উন্নীত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৩
আরএম/সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর