ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা শক্তিশালী করার উদ্যোগ

নূসরাত খান, এনভায়রনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৩
জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা শক্তিশালী করার উদ্যোগ

ঢাকা: দেশের প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সুবিধার্থে জলমহাল নীতিমালায় সংশোধনী এনে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর দি ডেইলি স্টার সম্মেলন কক্ষে জলমহাল নীতিমালায় সাতটি সংশোধনী এনে তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনা করা হয়।



সংশোধনীতে আরো উন্নয়নের লক্ষ্যেই ‘জলাশয় ও জলাভূমি পরিচালনা নীতি ও ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান, ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেস স্টাডিজ (আইজিএস) মৎস্য অধিদপ্তরের জলাভূমির জীববৈচিত্র্য পুনর্বাসন প্রকল্প বা ওয়েটল্যান্ড বায়োডাইভারসিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্টের (ডব্লিউবিআরপি) সহযোগিতায়।

বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডব্লিউবিআরপি’র উপদেষ্টা অধ্যাপক আইনুন নিশাত।

দেশের খাস জলাশয় ও জলমহালগুলো প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বন্দোবস্ত দিয়ে রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করে ২০০৯ সালে।

এ সংক্রান্ত বৈঠকে উঠে এসেছে নানা ধরনের সুপারিশ। যার মধ্যে নীতিমালার ‘জলমহাল’ সংজ্ঞাটির যথার্থ অর্থ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জলাশয় বা জলাভূমি ইজারা দেওয়ার মাধ্যমে ভূমি অধিকার রক্ষার যে প্রবণতা কাজ করে, সেখানে জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বিষয়টি উপেক্ষিত হয়ে আসছে বলে অনেকের ধারণা।

বর্তমান নাম বদলে নীতিমালাটির যথার্থ নামকরণ করারও সুপারিম করা হয়। এছাড়া জলমহাল ইজারা নেওয়ার ব্যাপারে চুক্তি নবায়নের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুলিপি দেওয়ার বিষয়টিও পুনর্বিবেচনায় নেওয়ার সুপারিশ করেন বিশেষজ্ঞ মহল। যতদিন পর্যন্ত মৎস্য অধিদপ্তর এ ব্যাপারটির দায়িত্ব না পাবে, ততদিন জটিলতা থেকেই যাবে।

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসলাম আলী বলেন, এসব কারণে জলমহালের সুষ্ঠু অধিকার পাচ্ছে না তৃণমূল পর্যায়ের মৎস্যজীবীরা। জলমহাল নীতির মধ্যে আধুনিকতা আনতে হবে।

তিনি বলেন, সমিতি ভিত্তিক ইজারা দেওয়ার ব্যাপারটি উল্লেখ আছে নীতিমালায়। কিন্তু একটি গ্রামেই পাঁচটি কিংবা তারও বেশি সমিতি গঠন করে রেখেছে ভিন্ন ভিন্ন মৎস্যজীবীরা। যাদের মধ্যে অনেকে আবার প্রকৃতপক্ষে মৎস্যজীবীও নন।

জলাশয়গুলো ইজারা দেওয়ার ব্যপারে জেলে বা অন্যান্য মৎস্যজীবীদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার প্রস্তাবনা দেন মৎস্য গবেষক ড. এম জি মুস্তফা। তিনি হাওর উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তরকে এ ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে প্রস্তাব দেন।
 
বৈঠকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইজিএস’র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট এস এম গুবায়ের বিন আরাফাত। এতে উপস্থিত ছিলেন আইজিএস’র পরিচালক ড. রিজওয়ান খায়েরসহ বিশিষ্ট গবেষক ও সরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন সংশ্লিষ্টজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৩
এনকে/এএ/এমজেডআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।