রংধনু আমরা আকাশে দেখি। জেনেছি রংধনুর মতো অপরূপ পাহাড়ের কথাও।
এই বিচিত্র বর্ণের স্বতন্ত্র আকৃতির গাছটি রয়েছে মাউইয়ের ছোট একটি উদ্যানে। এই অদ্ভুত সুন্দর গাছটির সবচেয়ে পরিচিত নাম রেইনবো ইউক্যালিপটাস বা রংধনু গাছ। এর প্রকৃত আবাস প্রধানত ফিলিপাইনের দ্বীপ মিন্ডানাও। তবে গাছটি মিন্ডানাও গাম বা রংধনু গাম নামেও পরিচিত।
ওয়ার্ল্ড অ্যাগ্রো ফরেস্ট্রির তথ্যানুযায়ী এটি একটি চিরহরিত গাছ। রংধনু গাছ বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল গাছেরও একটি। এটা বছরে আট ফুট পর্যন্ত বাড়ে। সর্বোচ্চ উচ্চতা ১৯৭-২৪৬ ফুট পর্যন্ত। প্রস্থে ৭.৯ ফুট পর্যন্ত হয়।
বিচিত্র রঙের রেখার কাণ্ড এই গাছকে দেয় একটি স্বতন্ত্র সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ। এ গাছ যদি কারো খুব বেশি পছন্দ হয় এবং কেউ যদি তার বাগানে লাগিয়ে বাগানকে সাজাতে চান বিচিত্র রূপে, তবে সে এলাকার গড় তাপমাত্রা হতে হবে ৩ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিশ্বব্যাপী রংধনু গাছ ব্যহার করা হয় সাদা কাগজ তৈরির মণ্ড হিসেবে। তবে এ মাত্রা ফিলিপাইনে সবচেয়ে বেশি। ফিলিপাইন এবং কোস্টারিকায় এ গাছের চাষ করা হয় মূলত কপি বাগানে। এর ছায়া কপি চাষের জন্য বিশেষ উপকারী। এর কাঠ ফার্নিচার এবং ক্যাবিনেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। হাওয়াইয়ে রংধনু গাছের কাঠ নৌকা তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়।
একই গাছের বাহারি বাকল বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। বর্ষার পর এর বাকল ধারণ করে চকচকে রং। এতে আকৃষ্ট হয়ে প্রচুর পর্যটক প্রতিবছর ভিড় জমান।
রং পরিবর্তনের সময় ভেজা বাকলের একটি রংধনু গাছ।
বছরজুড়ে প্রাকৃতিকভাবে রং পরিবর্তন করা সবচেয়ে সুন্দর গাছ রেইনবো ইউক্যালিপটাস। এটা সাধারণ সবুজ, গাঢ় সবুজ, নীল, বেগুনি, লাল, মেরুন রঙে রূপান্তরিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৩
এএ/এমজেডআর