বৃষ্টির আলতো চুমুতে লাবণ্য বাড়িয়ে নেওয়া সবুজ প্রকৃতির ধর্ম। গ্রীষ্মের পালা শেষ।
তাই শিরোনামহীন প্রাণের কথায় নিজেকে হারিয়ে বসতে বেগ পেতে হয় না সবুজের মাঝে। ঋতুর অলংকারে সবুজ চাদরে মোড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের কথা বলছি।
একেক ঋতুতে একেক ধর্ম তার। গ্রীষ্মে কৃষ্ণচূড়ার রক্তাভ আভা, বর্ষায় মনকাড়া সবুজ, শরতে মোহনীয় শুভ্রতা আর শীতে বাহারি ফুলের রং-সৌরভে মাতোয়ারা থাকে পুরো ক্যাম্পাস।
প্রবেশ পথের দুপাশে গাছের সারি। আর যেখানে সর্পিল পথের শেষ, সেখানে অর্জুনে ঘেরা কম্পিউটারাইজড কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন।
তার পাশেই সবুজের ফাঁকে ফাঁকে একাডেমিক ভবন, চেতনা ৭১, শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় মিলনায়তন, আবাসিক হলগুলোর অবস্থান। তিনটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন পর্যন্ত বিভাগ সংখ্যা পঁচিশটি।
সবুজ আমায় মুগ্ধ করে। সবুজ আমার মন কাড়ে। উদাস মনে পুলক জাগায়। আর ক্যাম্পাসে আমার অন্যতম আনন্দদায়ী ভরা যৌবনা সবুজ পত্রপল্লবগুলো।
নগর জীবন বিরক্ত মনে হয় কমবেশি সবার কাছেই। ক্যাম্পাস থেকে যখন কেউ বের হন, মনে হয় কিছু যেন রেখে যাচ্ছেন।
সবুজ প্রকৃতিকে ভালোবাসা, তার সঙ্গে সখ্যতায় মত্ত থাকার সুযোগ হয়তো সচেতন নয়, অবচেতন মনে হলেও হাতছাড়া হয়না ক্যাম্পাসের কারো।
আর এ সবুজ যেমন ভালোবাসার সঙ্গী, তেমনি নিঃসঙ্গতারও। যেখানে কথা বলা যায় মুক্ত বিহঙ্গের মতো।
লেখক: হাসান আদিল
বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৩
এএ/এমজেডআর