ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

উপকূলীয় দুর্যোগ নিরাপত্তায় বিল গেটস সহায়তা

মফিজুল সাদিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৩
উপকূলীয় দুর্যোগ নিরাপত্তায় বিল গেটস সহায়তা

ঢাকা: দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দুর্যোগপূর্ণ উপকূলীয় শহরগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে আধুনিক সফটওয়্যারের জনক ও মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ফাউন্ডেশন।

উপকূলীয় ৪টি জেলার ৮টি উপকূলীয় শহর উন্নয়নের দাতা সহযোগীরা হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), স্ট্রাটেজি ক্লাইমেট ফান্ড ও বিল গেটসের সামাজিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘বিল অ্যান্ড মিলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’।



‘উপকূলীয় শহন অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৭৫ কোটি টাকা।

এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে আসবে ১৭০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্যের অংশ হিসেবে বিল গেটস ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ঋণ ও উন্নয়ন সংস্থা দিচ্ছে ৭০৫ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। শেরে-ই-বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক প্রধান শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

প্রকল্পের আওতায় জেলাগুলোর পৌর অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্য বাড়ানোর মাধ্যমে শক্তিশালী দুর্যোগ মোকাবেলা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

প্রসঙ্গত, প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৪ থেকে মে ২০২০ সাল নাগাদ। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

সব মিলিয়ে ৪টি জেলার ৮টি উপজেলায় শহরের উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর ও মঠবাড়িয়া, বরগুনা জেলার বরগুনা, আমতলী, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপী, কলাপাড়া, ভেলা জেলার, ভোলা ও দৌলতখান উপকূলীয় শহরের উন্নয়ন করা হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে বারবারই দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এসব এলাকার সামর্থ্য বাড়াতেই এ প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ভবিষ্যতের দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা ও প্রাণহানিসহ সম্পদের নিরাপত্তা বিধানই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। এ উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করার জন্য বিল গেটসকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

প্রকল্পের আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ ৮টি উপকূলীয় পৌরসভা (মাঝারি শহর) জলবায়ু সহিষ্ণুতা ও দুর্যোগ প্রস্তুতি শক্তিশালী এবং শহর অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্প এলাকায় প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্য, স্থানীয় পরিচালন ব্যবস্থা জোরদার করা এবং জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় আছে ২১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ১০৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ, ১৯৪ কি.মি. পানি সরবরাহ পাইপ লাইন নির্মাণ, ১০টি বিদ্যালয়, ৮টি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র নির্মাণ, ৬০টি শৌচাগার নির্মাণ ও ৮৫ কি.মি. ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৩
এমআইএস/এসএইচ/জেসিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।