ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

গাছ কাটার কোনো বিকল্প নেই: বনমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬
গাছ কাটার কোনো বিকল্প নেই: বনমন্ত্রী

ঢাকা: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, গাছ কাটতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশ এতটুকু একটা দেশ, মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইল।

এখানে যদি আমরা ২৫ শতাংশ গাছ লাগানোর জন্য রেখে দেই, তা কি সম্ভব?

তিনি আরও বলেন, নগর বাড়ছে, নতুন নতুন শহর গড়ে উঠছে, মানুষ বাড়ছে, এ জন্য বসতি স্থাপন বাড়ছে। প্রতিনিয়ত গাছ লাগছে, ইট ভাটায় হাজার হাজার গাছ পোড়ানো হচ্ছে। গাছ না কেটে কোনো উপায় নেই, এটাই হচ্ছে বাস্তব সত্য।

বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন ভবনের হৈমন্তী মিলনায়তনে বন অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০১৬’ এর সামাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

গাছ কাটার বিকল্প নেই জানিয়ে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, আমরা বলছি বাড়ির ছাদে গাছ লাগান, স্কুল- কলেজ প্রাঙ্গণ, বাড়ির আঙ্গিনায় গাছ লাগান। এছাড়া আমাদের কোনো পথ নেই।

এ সময় তিনি আরও বলেন, যখনই আমরা বনায়নের কথা বলি, পশ্চিমা দেশের কথা বলি। যেখানে সবুজ আর সবুজ। ওই সমস্ত দেশে মানুষ কম, জায়গা বেশি। কিন্তু এটা তো বাংলাদেশে করা সম্ভব নয়। এই বাস্তব সত্যটা মেনে নিতে হবে। তবে বন বিভাগের সফলতাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বন বিভাগ অসম্ভবকে সম্ভব করার লড়াইয়ে নেমেছে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেছেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অত্যন্ত গতিশীল এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। একটি সবুজ, সুন্দর ও শ্যামল বাংলাদেশ আমরা গড়বোই গড়বো। আগামী প্রজন্মকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিয়ে যাবো যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্ন।

পরিসংখ্যান তুলে ধরে জ্যাকব বলেন, ৯ শতাংশ বনভূমি থেকে আমরা ১৪ শতাংশ বনভূমিতে উন্নীত করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা এই বনভূমি ২০ শতাংশে উন্নীত করবো।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী বলেন, এবারের মেলা জনসাধারণের মধ্যে ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে। মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ সহ সবখানে গাছ লাগাতে আমরা সবার সাহায্য চাই। এই বন বিভাগের প্রতিটা কর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সবুজ- শ্যামল একটি বাংলাদেশ গড়তে।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলীর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দিয়েছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, উপ প্রধান বন সংরক্ষক শফিউল আলম প্রধান প্রমুখ।

সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে বৃক্ষমেলায় আয়োজিত শিশুদের চিত্রাঅঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী সেরা নার্সারিবিদদের মাঝে পুরস্কার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৬
এএস/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।