শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পদ্মা সেতুর প্রাণী জাদুঘরের কিউরেটর ড. আনন্দ কুমার দাস বাংলানিউজকে এভাবেই বলছিলেন তার স্বপ্ন ও সৃষ্টির কথা।
পদ্মাসেতু এলাকায় জীববৈচিত্র্য ঠিক রাখার লক্ষ্যে বর্তমানে সেতুর দোগাছি সার্ভিস এরিয়ায় স্থাপিত পদ্মাসেতু প্রাণী জাদুঘরটি সমৃদ্ধ হচ্ছে।
জাদুঘরের কথা উল্লেখ করে আনন্দ কুমার গেয়ে ওঠেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কবিতার দু’টি লাইন ‘আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে, মোর টগবগিয়ে খুন হাসে, আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’…।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সেতু এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণ এবং হারিয়ে যাওয়া প্রাণীদের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতেই আমাদের এ প্রচেষ্টা। কোনো কিছু সৃষ্টি করার মধ্যে অনেক আনন্দ। এছাড়া আমাদের দেশের প্রাণী জগৎ সম্পর্কে বিদেশিদের জানাতে চাই।
তিনি বলেন, এ এলাকার বাসিন্দাদের জাদুঘরের বিষয়টি আমরা জানিয়েছি, লিফলেট দিয়েছি। এছাড়া কোনো প্রাণী মারা যাওয়ার খবর পেলে আমাদের টিমের কর্মীরা তা সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। আমাদের সংরক্ষণের মধ্যে বন্যপ্রাণী, বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়সহ মাছ ধরার যন্ত্র ও নৌকা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাদুঘরে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী কাচের বোতলে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সাজিয়ে রাখা প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে বিষধর গোখরাসহ বিভিন্ন ধরনের সাপ, কুনো ব্যাঙ, টিয়া, ভুতুম পেঁচা, কাক, বালিহাঁসসহ আরো বেশ কয়েক প্রজাতির পাখি।
বর্তমানে জাদুঘরটির সংরক্ষণ নিয়েই বেশি মনোযোগী কিউরেটরসহ মাঠকর্মীরা। আগামী ৫ বছরের মধ্যে জাদুঘর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এ জাদুঘরটি সমৃদ্ধ করতে কাজ করছেন মোট ২৬ জন। এর মধ্যে ১৩ জন মাঠকর্মী কনসালট্যান্ট হিসেবে আছেন। এদের সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। এছাড়াও রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, টেকনোলজিস্ট ও সাপোর্টিং স্টাফ রয়েছেন।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জাদুঘরটির কাজ শুরু হয়। এটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
আরএটি/আরআর/এসএইচ