সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে উদ্ধার হওয়া অতি বিরল প্রজাতির বাঁশ-ভাল্লুকটি (Binturang) এখানো শঙ্কামুক্ত নয়। এখানো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেনি সে।
বুধবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। খাঁচায় বন্দী এ প্রাণীটি দৈর্ঘ্যে প্রায় পাঁচ ফুট।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার দো, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব, সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) তবিবুর রহমান, বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী তানিয়া খান, ভেটেরিনারি সার্জেন ডা. আরিফুল ইসলাম, প্রমুখ অসুস্থ এ বিরল প্রাণীটিকে দেখতে আসেন।
সেই সময় সঙ্গে ছিলেন বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বন্যপ্রাণী সংগ্রাহক সিতেশ রঞ্জন দেব এবং বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা সূত্রে জানা যায়, ০২ জানুয়ারি তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে এ প্রাণীটি। পরে বন বিভাগের কাছে এটিকে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে এটিকে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার দো বাংলানিউজকে বলেন, সে পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়। চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক পরামর্শে তার চিকিৎসা চলছে। ভেতরগত ক্ষত হয়ে থাকলে এটিই বিপদের বড় কারণ।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী তানিয়া খান বাংলানিউজকে বলেন, এটি খুবই বিরল প্রজাতির প্রাণী। এর ইংরেজি নাম Binturang এবং বৈজ্ঞানিক নাম Arctictis binturang। সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের গভীর জঙ্গলের বাঁশ বনে এদের পাওয়া যায়। এরা গেছো স্বভাবের এবং সর্বভূক।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এমন একটি বিরল প্রাণী রয়েছে বলে সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি, ২০১৭
বিবিবি/এসএইচ