ঢাকা, শনিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

লাউয়াছড়ায় আশ্রয় পেল বিরল ‘হিমালয়ী-গৃধিনী’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:১৭, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
লাউয়াছড়ায় আশ্রয় পেল বিরল ‘হিমালয়ী-গৃধিনী’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): হিমালয়ের সবচেয়ে বড় আকারের পাখি ‘হিমালয়ী গৃধিনী’(Himalayan Vulture) ঠাঁই পেল লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। ‘হিমালয়ী গৃধিনী’ এ নামটির অর্থ হিমালয়ের শকুন। রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে পাখিটিকে কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে উদ্ধার করে লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। 

মৌলভীবাজার রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শমসেরনগর এলাকার জালালিয়া গ্রামের মুসিম মিয়ার বাসা থেকে আটককৃত অবস্থায় একে উদ্ধার করা হয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Gyps himalayansis

তিনি আরো বলেন, প্রথমদিকে কিছুটা দুর্বল মনে হলেও বেশ আগ্রহের সঙ্গে মাংস খাচ্ছে। যেহেতু খাবার খাচ্ছে, তাই ভয়ের কোনো কারণ নেই। কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রেখে পরে তাকে অবমুক্ত করা হবে।  

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রখ্যাত পাখি গবেষক ইনাম আল হক বাংলানিউজকে বলেন, হিয়ালয়ী-গৃধিনী বাংলাদেশের অনিয়মিত পাখি। শীতকালে ঢাকা ও সিলেট বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অন্য শকুনের সঙ্গে ছোট দলে থাকে। মাঝে মধ্যে এদের দেখা মেলে। এদের আকৃতি ১১৫ থেকে ১২৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।

তিনি আরো বলেন, শরীরজুড়ে বাদামি রঙ ছড়ানো। মাথা ও গলার সাদাটে চামড়ার পশমের মতো পালক। নিচ থেকে দেখলে ডানার কালচে পাড় এবং বাদামি পেট ও কালো লেজ চোখে পড়ে। তবে অপ্রাপ্ত পাখির পুরো দেহ কালচে। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে পশুর মৃতদেহ ও উচ্ছিষ্ট।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
বিবিবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।