জানা যায়, স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধচক্র বৈদ্যুতিক নতুন সংযোগ লাইনের প্রতিবন্ধকতার কথা বলে প্রথমে এই সব মাদার-ট্রি (মাতৃবৃক্ষ) গুলোর ডালপাতা কর্তন করে, পরে পুরো গাছটি কেটে ফেলে।
স্থানীয় বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাত আটটায় রাজঘাট চা বাগানে অবস্থিত বটগাছটির তিনটি ডাল জব্দ করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন লাখাইছড়া চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় শতবর্ষী বটগাছের তিনটি বড় বড় অংশ একপাশে ফেলানো রয়েছে। আর ছোট ছোট ডালের অংশগুলো অপর পাশে স্তূপ করে রাখা। ঘটনাস্থলে তখন অবস্থান করছিলেন রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ বনবিভাগের লোকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এ বটগাছটির পাশ দিয়ে যাওয়া নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগের দোহাই দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এই বাগানের বিশালাকৃতির দু’টি বটগাছ ৬০ হাজার টাকায় এক মহালদারের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। প্রথমে একটি গাছের ডালপাতা কর্তৃক করে তারপর মূল গাছটিকে কাটার কথা ছিল।
সিলেট বনবিভাগের মৌলভীবাজার রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা চাম্পালাল বৈদ্য বাংলানিউজকে বলেন, এই বটগাছটি প্রায় শতবর্ষী। বিদ্যুৎ লাইনের কথা বলে যে তিনটি বড় বড় ডাল কাটা হয়েছে তার মধ্যে দুটি একেবারে অপ্রয়োজনীয়ভাবে কাটা। যার সাথে বৈদ্যুতিক তারের কোনো সংযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, মোট ৩টি বড় বড় ডাল আমরা জব্দ করে লাখাইছড়ার স্থানীয় ইউপি সদস্য সিতারাম হাজরার নিকট জমা রাখা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আরএসএম মুনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে রাজঘাট চা বাগান এবং লাখাইছড়া চা বাগানের কর্তৃনকৃত কাঠগুলো জব্দ করেছি। পরিবেশ এবং প্রতিবেশ ব্যবস্থাকে সুস্থ রাখতে আমাদের বৃক্ষনিধন বিরোধী এই অভিযাগ চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বটগাছ একটি সংরক্ষিত প্রজাতি। তা কাটার প্রশ্নই ওঠে না। এর ফল খেয়ে অনেক প্রজাতির পাখিরা বেঁচে থাকে। আমাদের এলাকার শতবর্ষী বৃক্ষগুলোকে চিহ্নিত করে এদের সংরক্ষণের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যাগ নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
বিবিবি/এমজেএফ