পরিবেশের বিরূপপ্রভাব মোকাবেলায় এ বনায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে ১১২০ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সরকারি অর্থায়নে উপকূলবর্তী এলাকাসহ সারা দেশে সবুজায়ন বৃদ্ধি করা হবে। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণায় ২০ হাজার হেক্টর ম্যানগ্রোভ বনের কথা বলা হয়েছে। ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে থাকবে কেওড়া, বাইন গাছ।
এছাড়া সাড়ে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে অংশীদারিত্বমূলক ব্লক বাগান করার কথা বলা হয়েছে। আর ৩ হাজার ৬০০ কি. মি. রাস্তায় করা হবে স্ট্রিপ বাগান।
স্ট্রিপ বাগানের বড় একটি অংশ হবে রাজধানী ঢাকাতে। ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তায় সবুজায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী তিন অর্থবছরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও বেড়িবাঁধ এলাকায় লাগবে নতুন গাছ।
অংশীদারিত্বমূলক ব্লক বাগানের মধ্যে থাকবে ফল, ওষুধী, ফুল গাছসহ নানা উপকারভোগী গাছ। যেসব গাছ সরাসরি সামাজিক উন্নয়নে কাজ করবে। সরকারি অর্থায়নে ব্যক্তি উদ্যোগে এই ব্লক বাগান করা হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সবুজ বেষ্টনী তৈরি, ভূমিহীন দরিদ্রদের পুনর্বাসন, দারিদ্র দূরীকরণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভূমিক্ষয় ও জীববৈচিত্র্য হ্রাস রোধকল্পে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে দেশে জনপ্রতি বনভূমির পরিমাণ মাত্র দশমিক ০২ হেক্টর। যা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বনিম্ন। জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান হার বজায় থাকলে বনভূমির পরিমাণ আরো কমতে থাকবে। যা পরিবেশর জন্য মারাত্মক হুমকি। এ চিন্তা মাথায় রেখে এখন থেকে আগামী তিন অর্থবছরে বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যে যেটা বলা হয়েছে। সেটা সারাদেশের বনায়নের কথা বলা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এই অর্থবছরেই ২ কোটি গাছ লাগনো হবে। আগামী তিন অর্থ বছরেই অব্যাহতভাবে বনায়ন করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৬২০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৭
এসএম/এসএইচ