এখন পর্যন্ত কোনো রেজিস্ট্রার্ড ভেটেরিনারি সার্জনকে আনা হয়নি শকুনটির সুচিকিৎসার জন্য। লাউয়াছড়ার বনপ্রহরিদের দিয়ে চলছে শুশ্রুষার কাজ।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, মাথা নিচু করে বসে রয়েছে সে। তবে তার কাছে গেলে নিরাপত্তার স্বার্থে দুই ঠোঁট ফাঁক করে কামড়ানোর ভয় দেখাচ্ছে। এতে বোঝা যায় ওর শারীরিক চেতনতা এখনো নিঃশেষ হয়ে যায়নি।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ৭২ ঘণ্টা না গেলে বোঝা যাবে না। আমাদের বনবিভাগকর্মী শফিক শকুনটির দেখভাল করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ওকে স্যালাইন, গ্লুকোজ, মুরগি ও গরুর মাংস খেতে দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে সামান্য উন্নতির দিকে। তবে বিপদ কাটেনি।
‘ডাইক্লোফেনাক’ এবং ‘কিটোপ্রোফেন’ নামক গবাদিপশুর ভ্যাকসিন দুটোই ছিল শকুন প্রজাতির জন্য প্রাণঘাতী। সরকার ২০১০ সাল ‘ডাইক্লোফেনাক’ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ‘কিটোপ্রোফেন’ নিষিদ্ধ করেছে। শকুনে জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এ ড্রাগের ফলেই আমাদের চারপাশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বাংলা-শকুন।
***শঙ্কামুক্ত নয়, মহাবিপন্ন ‘বাংলা-শকুন’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
বিবিবি/এএ