ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয় বাংলা শকুনটি

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয় বাংলা শকুনটি লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে চিকিৎসাধীন বাংলা শকুন, ছবি : বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গল থেকে বুধবার দুপুরে উদ্ধার হওয়া মহাবিপন্ন বাংলা-শকুনটি এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। মাঝে মধ্যে সে মাথা নিচু করে বসে থাকছে। মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী বিভাগও চিন্তিত বিষয়টি নিয়ে।  

এখন পর্যন্ত কোনো রেজিস্ট্রার্ড ভেটেরিনারি সার্জনকে আনা হয়নি শকুনটির সুচিকিৎসার জন্য। লাউয়াছড়ার বনপ্রহরিদের দিয়ে চলছে শুশ্রুষার কাজ।

বুধবার রাত প্রায় নয়টা দিকে শকুনটিকে বন্যপ্রাণী অফিস থেকে লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে আনা হয়।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, মাথা নিচু করে বসে রয়েছে সে। তবে তার কাছে গেলে নিরাপত্তার স্বার্থে দুই ঠোঁট ফাঁক করে কামড়ানোর ভয় দেখাচ্ছে। এতে বোঝা যায় ওর শারীরিক চেতনতা এখনো নিঃশেষ হয়ে যায়নি।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ৭২ ঘণ্টা না গেলে বোঝা যাবে না। আমাদের বনবিভাগকর্মী শফিক শকুনটির দেখভাল করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ওকে স্যালাইন, গ্লুকোজ, মুরগি ও গরুর মাংস খেতে দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে সামান্য উন্নতির দিকে। তবে বিপদ কাটেনি।

‘ডাইক্লোফেনাক’ এবং ‘কিটোপ্রোফেন’ নামক গবাদিপশুর ভ্যাকসিন দুটোই ছিল শকুন প্রজাতির জন্য প্রাণঘাতী। সরকার ২০১০ সাল ‘ডাইক্লোফেনাক’ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ‘কিটোপ্রোফেন’ নিষিদ্ধ করেছে। শকুনে জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এ  ড্রাগের ফলেই আমাদের চারপাশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বাংলা-শকুন।

***শঙ্কামুক্ত নয়, মহাবিপন্ন ‘বাংলা-শকুন’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।