বানরের বাঁদরামি দেখতে অাসা দর্শনার্থীদের মেজাজ চটে যাচ্ছে বলে অন্যদিকে হাঁটছেন তারা। কারণ চঞ্চল বানরগুলো খাঁচা মাতিয়ে রাখতে পারছে না।
মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় রেসান বানরের খাঁচায় এমনই অবস্থায় দেখা গেলো লাফিয়ে চলা প্রাণিগুলোকে।
ঈদের দিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করেন চিড়িয়াখানায়। সামনেই বানরের খাঁচায় চোখ যায়। কিন্তু বানরগুলোর শরীরের কাহিলপ্রায় অবস্থা দেখে করুণাই হয় তাদের!
কয়েকটি বানর ওপরে কাঠের মাচার ওপর অলস বসে অাছে। নিজেদের মধ্যে দুষ্টুমি করে লাফিয়ে চলছে ৩/৪টি, বাকিগুলো শরীরের বোঝা নিয়েই যেন কষ্টে ভুগছে।
কোনোটির শরীরের লোম উঠে গেছে, কোনোটির শরীরে ঘা। অার একটি বানরের লম্বা পেট মেজেতে ঘষা খাচ্ছে বলে সেটি বসেই সময় কাটাচ্ছে।
অথচ কয়েক মাস অাগেও বানরগুলোর চঞ্চলতায় মেতে উঠতো দর্শকরা।
অার শেডের মধ্যে কলার খোসা, রুটির অংশসহ ময়লা ছড়ানো ছিটানো। রয়েছে মাছির উৎপাত। দুর্গন্ধে বেশিক্ষণ দাঁড়ানোও যায় না।
প্রাণিগুলোর যত্নআত্তি কমতির কারণে এমন অবস্থা হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন কেউ।
মিরপুর-১১ নম্বর এলাকা থেকে ঈদের বিকেলে এসেছিলেন ব্যবসায়ী মুন্না। বললেন, ময়লা জমে অাছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা উচিত ছিল। দেখেন কেমন দুর্গন্ধ!
খাঁচার কাছাকাছি গিয়ে বানরদের খাবার দিয়ে ও খোঁচা মেরে বিরক্ত করতে দেখা গেলো শিশুদের। অথচ তাদের থামাতে কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। বানরগুলোর অবস্থা নিয়ে বিরক্তিকর মন্তব্য করেন সদ্য স্নাতক শেষ করা চাঁপাইনবাবগঞ্জের অামিনুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অসহায় প্রাণিদের বিনা কারণে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। এভাবে যত্নের অবহেলা করলে দর্শনার্থীরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন এবং এখানে আসতে চাইবেন না।
তিনি আরও বলেন, বানরের কয়েকদিনের একটি বাচ্চাকে লোহার তার চিবাতেও দেখা যায়। অথচ তারের মাথা বিধলে সমস্যা তৈরি হতে পারে, এসব দেখার কেউ নেই।
অবহেলার বিষয়ে কথা বলতে চিড়িয়াখানার কিউরেটর নজরুল ইসলাম ও উপপরিচালক অাব্দুর রাজ্জাকে পাওয়া যায়নি।
সেখানকার একজন স্টাফ জানান, কিউরেটর চিকুনগুনিয়ায় অাক্রান্ত হয়েছেন। অার উপপরিচালক রাজ্জাক ৩/৪ দিনের ছুটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
এমঅাইএইচ/আইএ