পুকুর পাড়ে, নদীর ধারে বা বিল-হাওরের লতাগুল্মের উপর কখনও কখনও মাছরাঙাকে আপন ধ্যানে গভীর নীরবতায় বসে থাকতে দেখা যায়। আমাদের চলতি পথে মাছরাঙার এমন দৃশ্য আমাদের বারংবার মুগ্ধ করে।
দ্রুততার সঙ্গে শিকার ধরে ফেলা উড়ন্ত শিকারিদের চিরাচরিত প্রথা। মাছরাঙাও পিছিয়ে নেই শিকারি পাখিদের রকেটগতির সেই বিস্ময় থেকে।
প্রকৃতির মাঝে প্রতিদিন ঘটে যায় শিকার ধরার নানা রকমের অসাধারণ সব পর্বগুলো। সেগুলো সব যে সফলতার সুতায় গাঁথা তেমন কিন্তু নয়। সেখানে ব্যর্থতাও রয়েছে প্রচুর। এসব আমাদের দৃষ্টিসীমার নাগালের মধ্যে থাকে না বলে আমরা এসবের খবরই রাখি না। কখনও কখনও সেই অসাধারণ দৃশ্যগুলো দেখা পেলে চমকে উঠি!
অসাধারণ এ ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেন দেশের বরেণ্য পাখি বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টিমুখর দিনে বান্দরবানের পথে ‘মেঘহও-মাছরাঙাটির (Stork-billed Kingfisher) এই চোখ-ধাঁধানো দৃশ্যটিতে অভিভূত হয়েছি আমি। খেয়াল করে দেখুন, কী দ্রুতগতি ডানায় নিয়ে একনিষ্ঠভাবে সে তার লক্ষ্যবস্তু দিকে ধাবিত হয়েছে। ছবিটি কেবল দেখতেই ইচ্ছে করে।
এর শারীরিক বর্ণনা প্রসঙ্গে এ পাখি বিশেষজ্ঞ বলেন, মেঘহও-মাছরাঙা আকারে শালিকের চেয়ে বড়। প্রায় ৩৫ সেন্টিমিটার। দেহ বাদামি। ডানা ও লেজ নীল। মাথা ও ঘাড় বাদামি। পিঠ ও কোমর নীল। গলা এবং পেট হলদে-কমলা।
‘কে-কে-কে...’ এভাবে চিৎকার করে ডাকে। তবে প্রজনন মৌসুমে তার বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করতে গলায় ‘পিউ-পিউ, পিউ-পিউ...’ এমন শব্দের মায়াবী সুর চলে আসে। এরা সারাদেশের জলাভূমিতে রয়েছে বলে জানান পাখি বিজ্ঞানী ইনাম আল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
বিবিবি/এএ