শনিবার (১৫ জুলাই) থেকেই নেই বৃষ্টি। তাতে বেড়েছে গরম।
কেউ কেউ চোখে সান গ্লাস ও হাতে ছাতা নিয়ে তাপদাহ থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজছেন। খেটে খাওয়া দিনমজুরদের মাথায় গামছাই ভরসা; গাছের পাশে বসে গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা চালান অনেকে।
এদিনই প্রথম শ্রাবণ। এ মাস মানেই অঝোর ধারায় বয়ে যাওয়ার দিন। তবে তিনদিন ধরে বৃষ্টি তো দূরে থাক কোনো মেঘের দেখা নেই! যদিও বর্ষার শুরু থেকে রাজধানীতে টানা বৃষ্টি। বৃষ্টির কাছে সূর্য তার শক্তিমত্তা জানান দিতেই পারেনি। তাই তো, সুযোগ বুঝে ঝাঁঝালো রোদ মাথার উপর ভয়ানক হাসি ছড়াচ্ছে!
মহসিন নামে এক পথচারী বাংলানিউজকে বলেন, আজ দেখছি রোদের ধরণটা অন্যরকম। চোখ খুলে তাকানো যাচ্ছে না। বাইরে বের হলে মাথা ধরছে। ভয়ানক গরম লাগছে।
যাত্রী না নিয়ে গাছের ছায়ায় পা সিটে তুলিয়ে ঝিমাচ্ছিলেন রিকশাচালক আবুল। আগারগাঁও তালতলা যাবেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ওঠেন না আফা! আজকে যা রোইদ। এই দুপুর বেলা রিকশা চালামু না। শরীরে কুলাইবো না।
অাবহাওয়া অফিস বলছে, রোববার দুপুর পর্যন্ত ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সূর্যের এমন তামপাত্রা আরও দুই-তিন থাকবে। বর্ষাকালে সূর্য সাধারণত খাঁড়াভাবে থাকে, এ কারণে তামপাত্রা বেশি। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমে যায়।
তাছাড়া সাগরে লঘুচাপের কারণেও তাপমাত্রা একটু বেশি, জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এমসি/আইএ