ভোর থেকে শুরু হওয়া গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি রাজলক্ষ্মীর চোখের জলে মিশে গিয়ে একাকার হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। চোখের পাতা ফেলছে না।
বৃহস্পতিবারের (২০ জুলাই) চেয়ে অবস্থা তার আরো সংকটাপন্ন। নিস্তেজ হয়ে শুয়ে আছে রাজলক্ষ্মী। আগের মতো সামনের দুই পা আর নাড়ছে না। নাড়ছে না শুঁড়টি (একক হাত)। গায়ে বা মুখমণ্ডলে মাছি বসলে সেই মাছিগুলোকে তাড়ানোর শক্তিটিও তার আর নেই। তবে কী জীবনের অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে রাজলক্ষ্মী?
শুক্রবার (২১ জুলাই) সকাল ৮টায় হাতিটির কাছে গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র। দীর্ঘ সময় থেকে তখন গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। এই বৃষ্টি যাতে তার গায়ে পড়ে তার জন্য ত্রিপল এবং পলিথিন টাঙানো হয়েছে। একজন-দুজন-চারজন করে দলে দলে লোক দেখে যাচ্ছে।
রাজলক্ষ্মী সেবায় নিয়জিত খোরশেদ ও হারুন বলেন, গতকাল বেলা ৩টার দিকে সর্বশেষ সে মুখে করে খাবার খেয়েছে। সবুজধানের কয়েকটি আটি ওর মুখের সামনে ধরতেই জিহবা দিয়ে টেনে নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়েছে। ব্যাস, এতো টুকুই। তারপর থেকে আর খাবার খাচ্ছে না সে।
২৫ লিটার স্যালাইন এবং প্রায় ১৫টি এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দেয়া হয়েছে গতকাল তাকে। এরপর থেকেই বেশ দুর্বল সে। অবস্থা সুবিধার নয়। বড় ডাক্তার আসলে হয়তো কিছুটা আশা আমাদের মনে জাগবে বলে বলে জানান তারা।
এদিকে, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার দো বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে ঢাকা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম আমাদের জানিয়েছে হাতিটির চিকিৎসার জন্য তিনি তাদের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে শ্রীমঙ্গল পাঠাবেন।
সেই মোতাবেক ঢাকা চিড়িয়াখানার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. নাজমুল আজ শ্রীমঙ্গলে আসতে পারেন বলে জানান ডিএফও।
**রাজলক্ষ্মীর অবস্থা অপরিবর্তিত
** ‘রাজলক্ষ্মী’র পরম সেবায় নাইওর মিয়া
** নড়াচড়া করছে ‘রাজলক্ষ্মী’
** সুস্থ হয়ে উঠবে তো ‘রাজলক্ষ্মী’?
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
বিবিবি/বিএস