হবিগঞ্জ জেলার হাওর-বাওড়, বিলে এরই মধ্যে দেখা মিলছে তাদের। সারারাত খাবার সংগ্রহ করার পর ভোরবেলা নিজের তৈরি করা অস্থায়ী বাসস্থানে ফিরে ক্লন্তি দূর করছে অতিথি পাখির দল।
শীতের শুরুতেই হবিগঞ্জ শহর, বানিয়াচং, নবীগঞ্জ, বাহুবল এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলার একাধিক জায়গায় ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। ভিনদেশি এসব অতিথি পাখি হয়ে উঠেছে এসব এলাকার মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম।
বানিয়াচং উপজেলা সদরের জাতুকর্ণ পাড়ার স্কুল শিক্ষিকা শাহনাজ ইয়াসমিন বাংলানিউজকে বলেন, আট বছর আগে হঠাৎ এক শীতে আমাদের বাড়ির বাগানে আসতে শুরু করে পরিযায়ী পাখি। এরপর থেকে প্রতি বছর শীত এলেই আমাদের বাড়িতে আসে। আমরাও অতিথিদের অপেক্ষায় থাকি প্রতি বছর। আমরা এসব পাখির খেয়াল রাখি। সব সময় নজর রাখি যাতে কেউ পাখি শিকার না করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া সোহা এবং চার বছর বয়সী ছেলে সিয়াম সারাদিন মেতে থাকে অতিথি পাখি নিয়ে। আমাদের বাঁশ বাগানে হাজার খানেক পাখি আসে প্রতি বছর। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি খাবার সংগ্রহের জন্য বেড়িয়ে পড়ে। আবার ভোর হতে না হতেই চলে আসে নিজের বাসস্থানে। সারাদিন পাখির কলকাকলিতে ভরে থাকে চারপাশ।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলী শামীম বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন ধরে শহরের জেলা পরিষদ কার্যালয়, থানা, সার্কিট হাউজ এবং সদর হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। এছাড়া এসব পাখিকে দেখার জন্য প্রতিদিন ভিড় করেন পাখিপ্রেমীরা।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সন্দ্বীপ কুমার সিংহ বাংলানিউজকে বলেন, শীতকাল এলেই বানিয়াচং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আসতে থাকে অতিথি পাখি। এবারও এসেছে। দুর্বৃত্তরা যাতে অতিথি পাখি শিকার করতে না পারে সে ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
এসআই