গত এক মাসের আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অক্টোবরে ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে নামেনি তাপমাত্রা। তবে নভেম্বরে এটা আরো নামতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে রংপুর, দিনাজপুর, নঁওগার দিকে তাপামাত্রা সবেচেয়ে কম বিরাজ করছে। এসব এলাকায় তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমে আসছে। রাতের তাপমাত্রা আরো নীচে নেমে আসছে। সারাদেশের সঙ্গে ঢাকার তাপমাত্রা দিনে না কমলে রাতে কমে এসেছে অনেক।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমবে। ইতিমধ্যে বৃষ্টিপাত কমে গেছে। তবে নভেম্বরে নিম্নচাপের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের যে প্রবণতার কথা বলা হচ্ছে, এরপরই ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র শৈত প্রবাহ চলে আসবে। এক্ষেত্রে নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের প্রথমে জেঁকে বসতে পারে শীত।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ’র দেওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নভেম্বরে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ মাসে দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে। দৈনিক গড় বষ্পীভবন হবে ২ দশমিক ৭৫ মিলিমিটার থেকে ৩ দশমিক ৭৫ মিলিমিটার। এছাড়া দৈনিক গড় সূর্যকিরণ হবে ঘণ্টা থেকে ৬ ঘণ্টা ৫০ মিনিট।
এদিকে বিকেল থেকে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নগুলোতে বেশ ভাল শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। কুয়াশাও পড়ছে স্বাভাবিকভাবে। মোটরসাইকেল কোনো খোলা জায়গায় ঘণ্টাখানেক রাখলেই ভিজে যাচ্ছে সিট কভার। ফুলহাতা শার্ট ছাড়া বাইক চালানোয় কষ্টকর হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ