শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ওই ইউনিয়নের ডংনালা পাহাড়ি গ্রামে মৃত অবস্থায় বন্যহতিটিকে দেখতে পাওয়া যায়।
এদিকে, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রুহুল আমিন, সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জিএম রফিক আহম্মদ ও রাইখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হাই।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবছর ওই গ্রামে বন্য হাতির পাল আক্রমণ করে তাদের চাষ করা ধানের ক্ষতি করে। বন্যহাতির আক্রমণ থেকে ধান বাঁচাতে জমির চারপাশে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে তার ঘেরাও করে রাখা হয়। এছাড়া জমিতে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে এবং পটকা বাজিয়েও বন্য হাতির আক্রমণ থেকে তাদের ধান রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়।
কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রুহুল আমিন জানান, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) গভীর রাত কিংবা শনিবার ভোরে জমিতে ধান খাওয়ার জন্য হাতিটি এলে জমিতে দেয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়। পরে কাপ্তাই উপজেলা ভেটেনারি সার্জন ডা. তাহমিনা আরজুর মাধ্যমে হাতির মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে ওই স্থানে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
আরবি/