বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে অ্যাগ্রো-ইকোলজির গুরুত্ব’ শীর্ষক একটি পরামর্শ সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (আরআইবি) এ সভার আয়োজন করে।
বাংলাদেশের ৪টি কৃষি প্রতিবেশ এলাকায় (বগুড়া, নীলফামারী, চট্টগ্রাম ও সাতক্ষীরা) জার্মানির রোসা লুক্সেমবার্গ স্টিফটুং-এর সহায়তায় জীববৈচিত্র্য নির্ভর চাষাবাদ সম্প্রসারণে ‘প্রান্তীয় জনগোষ্ঠীর জ্ঞানভিত্তিক কৃষি প্রতিবেশ: শিক্ষণ ও গণগবেষণা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে আরআইবি।
এই প্রকল্পের কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা জাতীয় পর্যায়ে কৃষিবিদ, গবেষক, নীতি নির্ধারক, রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে বিনিময় করতে এবং আরআইবি প্রস্তুতকৃত ‘জীববৈচিত্র্য নির্ভর কৃষি ম্যানুয়াল’ এর মোড়ক উন্মোচনের জন্য এই কনসালটেশন মিটিং আয়োজন করা হয়।
ম্যানুয়ালের মোড়ক উন্মোচন করেন কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এমএম আকাশ, কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার আলী, অ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা। ম্যানুয়াল সম্পর্কে আলোচনা করেন কৃষিবিদ ড. রনজিৎ সেন এবং দেলোয়ার জাহান।
বক্তারা বলেন, ষাটের দশ থেকে সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে তথাকথিত আধুনিক কৃষির প্রচলনের ফলে বাংলাদেশে মাটির উর্বরতা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক বিষের ব্যবহার বাড়ছে। অথচ শত্রু পোকার সংখ্যা ও প্রভাব বেড়ে চলেছে। খাদ্য ও পানিতে এই রাসায়নিক বিষ মিশে যাচ্ছে। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে এবং ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিও বেড়ে চলেছে।
তারা বলেন, অন্তত ৪২টি জেলায় পানিতে আর্সেনিক দূষণ বেড়ে যাচ্ছে। কৃষক বীজের জন্য বাজারের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কৃষির যাবতীয় সরঞ্জামের জন্য কৃষক বিশেষ কিছু কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। এক শস্যের নিবিড় চাষের ফলে শস্যবৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে। এসব মোকাবেলায় কাজ করছে আরআইবি।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা এবং কৃষকরা মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এমএইচ/এমজেএফ