আবহাওয়া অধিদফতর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, সকাল ছয়টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে চাঁদপুরে, আর ঢাকায় হয়েছে ১৫ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাতের এ ধারা রোববারই কমে আসবে।
এদিকে বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতায় রাজধানীবাসী সকাল থেকে ভিজে নাকাল। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল বেলা কাকভেজা হতে হয়েছে অনেককে। কেউ কেউ আবার ভিজে একাকার হয়েছেন ভারী বৃষ্টিতে।
আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী চারদিন ক্রমান্বয়ে রাতের তাপমাত্রা কমবে।
এদিকে নিন্মচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মাছধরা ট্রলার ও নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের ফলে গাড়ি সংকটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক জানজট।
বৃষ্টির অযুহাতে রিকশাচালক, সিএনজি (রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস) চালিত অটোরিকশা চালকরা ভাড়া বাড়িয়েছে দেড় গুণ।
কল্যাণপুরে মতিঝিল যাওয়ার জন্য সকাল সাতটা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো গাড়িতে উঠতে পারেননি বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আমীর হোসেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বাসা থেকে বাস স্টপেজ পর্যন্ত ১৫ টাকার ভাড়া দিয়েছি ৪০ টাকা। আর বাসন্ট্যান্ডে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়েও গাড়ি পাইনি। বাস লোকে ঠাসা থাকায় ওঠা যাচ্ছে না। সিএনজি চালকরা যেতে চাচ্ছে না মতিঝিলের দিকে। যে যেতে চাচ্ছে, ভাড়া হাঁকাচ্ছে ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা।
একই অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন নিউমার্কেটগামী আব্দুল মোতালেবও। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এ কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকে কয়েকবার ভিজে অবস্থা খুব বাজে। রাস্তায় কোনো শেল্টার নেওয়ারও উপায় নেই। প্রতিটি শ্যাডোর নিচেই অনেক মানুষ চাপাচাপি করে দাঁড়িয়ে আছেন।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
ইইউডি/জেডএম